নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার প্রয়াত হন অরুণ জেটলি। রবিবার দিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল তাঁর শেষকৃত্য। কিন্তু বিদেশ সফরে থাকায় বন্ধুর শেষযাত্রায় থাকতে পারলেন না নরেন্দ্র মোদী। আর সেই যন্ত্রণার কথা নিজের মুখেই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, বন্ধু বিয়োগের যন্ত্রণা সত্ত্বেও কর্তব্যের বাঁধনে আটকে পড়েছেন।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও বাহারিনে ত্রিদেশীয় সফর শেষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাহারিন থেকে জি৭ সম্মেলনে উপস্থিত হতে ফের উড়ে গিয়েছেন ফ্রান্সে। মোদী যখন বিদেশে, তখন দেশ হারিয়েছে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। শনিবার এইমসে প্রয়াত হন অরুণ জেটলি। এদিন তাঁর শেষকৃত্যও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতির জমানার বন্ধুর শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। রবিবার বাহারিন থেকে চলে গিয়েছেন ফ্রান্সে। কর্তব্য ও বন্ধুত্বের মধ্যে কর্তব্যকেই বেছে নিতে হয়েছে বলে আক্ষেপ তাঁর। বাহারিনে অনাবাসী ভারতীয়দের সভায় তাই বলেছেন,  'আমি কর্তব্যে বাঁধা মানুষ। একদিকে বাহারিনে প্রচুর উত্সাহ, দেশে 
জন্মাষ্টমী উদযাপন হচ্ছে, অথচ আমার ভিতরে রয়েছে গভীর শোক। বেদনা চেপে আপনাদের মধ্যে হাজির হয়েছি।' 


অরুণ জেটলির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সখ্যতার কথা স্মরণ করে মোদী বলেন,'সেই বিদ্যার্থী পরিষদের সময় থেকে বন্ধুত্ব, রাজনৈতিক যাত্রাও একসঙ্গে করেছি। সবসময় একে অপরের সঙ্গে থেকেছি। একসঙ্গে লড়াই করেছি। স্বপ্ন সাজিয়েছে। স্বপ্ন পূরণ করেছি। অরুণের সঙ্গে আমার দীর্ঘ সফর। প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর দেহাবসান হয়েছে। আমি কল্পনাও করতে পারছি, এত দূরে বসে আছি আর আমার বন্ধু চলে গেল। মনের মধ্যে ব্যাথা ও বেদনা নিয়ে আছি। অগাস্ট মাসে কিছু দিন আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা জি চলে গিয়েছেন। আজ আমার বন্ধু অরুণ চলে গেল। দ্বিধায় রয়েছি, একদিকে কর্তব্য বেঁধে রেখেছে, আর একটা দিকটা ভরে রয়েছে বন্ধুত্বের আবেগ। বাহারিনের মাটি থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছি ভাই অরুণকে। ওনার পরিবারকে শক্তি দিক ঈশ্বর।' 



শনিবার ১২টা বেজে ৭ মিনিটে প্রয়াত হন অরুণ জেটলি। ৯ অগাস্ট তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল এইমসে। এদিন বিজেপি অফিসে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তারপর নিগমবোধ ঘাটে পঞ্চভূতে বিলীন হন জেটলি। নিগমবোধ ঘাটে বাবার মুখাগ্নি করেছেন অরুণ জেটলির ছেলে রোহন। বৃষ্টির মধ্যেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা এলকে আডবাণী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা প্রমুখ। নিগমবোধ ঘাটে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, যোগগুরু রামদেব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমাররা।


আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে কোণঠাসা, এবার শাহরুখ খানকে নিশানা করলেন পাকসেনার মুখপাত্র