নিজস্ব প্রতিবেদন: সংখ্যালঘু সুরক্ষিত নয় বাংলাদেশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশেরই নাগরিক প্রিয়া সাহা। ট্রাম্প ও প্রিয়ার কথপোকথনের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। বাংলাদেশের একাংশ মানুষ, শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা প্রিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে ‘দেশদ্রোহিতার’ অভিযোগ এনে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আবার দাবি করেছেন, প্রিয়া সাহার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এর পিছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। এমতাবস্থায় প্রিয়া কী ভাবছেন? আদৌ কি দেশে ফিরতে পারবেন? মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কি ভুল করলেন? এক সাক্ষাত্কারে এ সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন প্রিয়া সাহা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হোয়াইট হাউজে প্রিয়া বলেছিলেন, ৩ কোটি ৭০ লক্ষ সংখ্যালঘু মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক প্রিয়া সাহা বলেন, ২০০১ সালে সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, দেশভাগে সময় মোট জনসংখ্যার ২৯.৭ শতাংশ সংখ্যালঘু ছিল। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯.৭ শতাংশ। তাঁর দাবি, অর্থনীতিবিদ আবুল বারাকাত তাঁর গবেষণায় বলেছেন প্রতিদিন ৬৩২ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ নিখোঁজ হচ্ছেন। কোথা যাচ্ছে প্রশ্ন করা হলে প্রিয়ার উত্তর, তা রাষ্ট্র জানে। সচেতন মানুষও জানেন কীভাবে তাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানে জোড়া জঙ্গি হামলায় মৃত ৯, আহত কমপক্ষে ৩০


প্রিয়া নিজের গ্রামের উদাহরণ টেনে জানান, তাঁর গ্রামে ২০০৪ সালে ৪০টি হিন্দু  পরিবার ছিল, তা কমে ১৩টিতে দাঁড়িয়েছে এখন। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন প্রিয়া সাহা। বলেন, ২০০১ সালে নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনাকে সমালোচনা করতে দেখা যায়। তাঁর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই যে কোনও জায়গায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি।


তিনি কীভাবে ওয়াশিংটন গেলেন? এই প্রশ্নে প্রিয়া জানান, মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের আমন্ত্রণে সংখ্যালঘুদের অধিকার সংক্রান্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করতে আমেরিকায় যাই। সেখানেই আয়োজকের পক্ষ থেকে তাঁকে হোয়াইট হাউজে পাঠানো হয়। এ সম্পর্কে তাঁর সংগঠনের নেতারাও অবগত ছিলেন না বলে জানান প্রিয়া। বাংলাদেশে ফিরবেন প্রিয়া? উত্তরে ওই সমাজকর্মী বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তো সেই আবেদনে রেখেছি, বাংলাদেশে থাকতে চাই। ওটাই আমার প্রথম ও শেষ কথা। ফের প্রশ্ন করা হয় দেশে ফিরবেন? প্রিয়ার সাফ উত্তর, “অবশ্যই।”