নিজস্ব প্রতিবেদন: সাফোক কাউন্টির মাইকেল লেই-ম্যালোরি। তাঁর ছিল একটি মেটাল ডিটেক্টর। তিনি ফাঁকা সময়ে সেই মেটাল ডিটেক্টরটি নিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরে বেড়াতেন। এরই মধ্যে একদিন তাঁর হাতুড়িটি গেল হারিয়ে। সেদিন অবশ্য মেটাল ডিটেক্টরটি তাঁর যথেষ্ট কাজেই লাগবে। সেটি নিয়ে তিনি বেরোলেন হাতুড়ি খুঁজতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঠিক কী হয়েছিল সেদিন?


বৃদ্ধ জানিয়েছেন--মাঠে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তিনি তাঁর হারিয়ে যাওয়া হাতুড়িটি খুঁজছিলেন। আচমকাই এক জায়গায় মেটাল ডিটেক্টরে 'বিপ' শব্দ হয়। তিনি ভেবেছিলেন তিনি বোধ হয় তাঁর হাতুড়িটি পেয়ে গিয়েছেন। শুরু করলেন মাটি খোড়া! আর তার পরেই তাঁর আশ্চর্য হওয়ার পালা। দেখেন একটু নীচেই রুপোর মুদ্রা। খুঁড়তে থাকেন। আরও খোঁড়ার পরই আর এক বার 'বিপ' শব্দ। আবার খোঁড়াখুঁড়ি। আর তারপেরই তাঁর স্রেফ মাথা ঘুরে যাওয়ার পালা। তাঁর হাতে উঠে আসে কয়েকশো সোনা-রুপোর মুদ্রা ও চামচ!


সেদিন তিনি অবশ্য সেই সব ধনসম্পত্তি গোপনে আত্মসাৎ করে নেননি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ও স্থানীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগে জানান। ঘটনাস্থলে যান পুলিস ও প্রত্নতত্ত্ববিদ। একটি ওক কাঠের বাক্সে ঠাসা ছিল সোনাদানা।  পুরাতত্ব বিভাগের কর্মীরা সেই স্থানে খননকাজ চালিয়ে ৬০ পাউন্ড রুপো ও সোনার দ্রব্য আবিষ্কার করেন। এর মধ্যে ছিল কয়েক হাজার রোমান কয়েন, কয়েক ডজন রুপোর চামচ, নানা ধরনের সোনার জিনিস। গুপ্তধন আবিষ্কার এবং তা আত্মস্যাৎ না করার পুরস্কার হিসাবে ব্রিটিশ সরকরের তরফে ১.৭৫ মিলিয়ন টাকা দেওয়া হয় তাঁকে।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Thomas Carlyle: কার্লাইলের দ্বারা প্রভাবিত হননি, তাঁর সময়ের এমন বিশিষ্ট খুঁজে পাওয়াই কঠিন!