ওয়েব ডেস্ক : দিন তিনেক আগে রাখাইন ছেড়ে পালিয়ে এসেছেন মহম্মদ কাসিম। সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''পালিয়ে আসার আগে তিনি দেখেছেন তাঁর মেয়ে গণধর্ষের শিকার। প্রতিবাদ করায় তাঁর পায়ে গরম ছুরি দিয়ে ছেঁকা দেওয়া হয়। হুমকি দেওয়া হয়, এলাকা ছেড়ে না পালালে বাড়ির সদস্যদে খুন করা হবে।'' এরপরই সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় আশ্রয় নেন। জানেন না পরিবারের বাকি সদস্যরা কোথায় আছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মায়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গা সমস্যা অবিলম্বে মেটানোর পরামর্শ রাষ্ট্রপুঞ্জের


শুধু মহম্মদ কাসিমই নয়, একই ঘটনার শিকার আনোয়ারা বেগম, আলতফ আলিদেরও। তারা রোহিঙ্গা মুসলমান। সেনাবাহিনীর অত্যাচারে মায়ানমার ছেড়ে তারা আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশের কক্সবাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। বহুদিন ধরেই মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিব্রত সেদেশের সেনা। তাদের দাবি, ওই সংখ্যালঘুরা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে দাবি করলেও আসলে তারা বহিরাগত। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে বিবাদ।


আরও পড়ুন- ভোটের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ, হাসিনাকে তোপ তসলিমার


রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমারকে ইতিমধ্যেই কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তাদের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সমস্যার দ্রুত সমাধান না করা হলে তা 'মানবিকতার ওপর আঘাত' হানতে চলেছে। কক্সবাজারে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধির দেওয়া রিপোর্টে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহে মায়নমার থেকে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।