নিজস্ব প্রতিবেদন— তিনি প্রথমবার যখন ওয়ার্ডে ঢুকলেন, রোগীদের চোখ ছানাবড়া। একজন নার্স হাজির অন্তর্বাস পরে। পিপিই কিট পরেছেন তিনি। তবে সেই ট্রান্সপ্যারেন্ট পিপিই কিট—এর ভিতর অন্তর্বাস দেখা যাচ্ছে স্পষ্ট। নার্সের এমন সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে রোগীদের কোনও অভিযোগ নেই। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এতটা সাহস মেনে নিল না। এমন ঘটনার জন্য সেই নার্সকে বরখাস্ত করার হুমকি দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তেমন কিছুই হল না। পেশাদার হিসাবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে সেই নার্সের। আর করোনার এই দুঃসময় একজন নার্সকেও ছাঁটাই করলে মহামুশকিলে পড়তে হবে। তাই ২৩ বছর বয়সী নার্স আবার কাজে ফিরেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পিপিই কিট নিয়ে এমনিতেই প্রচুর চর্চা হচ্ছে। বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশেই চিকিত্সকরা পর্যাপ্ত পিপিই কিট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। এমন অবস্থায় সেই নার্স আরও একবার পিপিই কিটকে আলোর নিচে নিয়ে এলেন। সেই নার্স জানিয়েছেন, ''পিপিই কিট পরে কাজ করা কষ্টকর। সারাক্ষণ পিপিই পরে থাকলে খুব গরম লাগে। আমি প্রথমে বুঝতে পারিনি যে পিপিই কিট আসলে ট্রান্সপ্যারেন্ট। বুঝিনি, আমার আন্তর্বাস দেখা যাবে।'' যদিও সেই নার্সের এমন যুক্তি কেউ মানতে নারাজ। তাতে অবশ্য তারও কিছু যায় আসে না। তিনি যেটা ঠিক মনে হয়েছে সেটাই করেছেন। আর একজন রোগীও তাঁর এই পোশাক নিয়ে অভিযোগ করেননি। অনেকে আবার বলেছেন, সেই সেবিকা করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে একটু হাসির পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার শাস্তি হওয়া একেবারেই উচিত নয়। বরং তাঁকে পুরস্কার দেওয়া উচিত।


আরও পড়ুন— করোনার জন্য এবার শাস্তি টাকার! ব্যাঙ্কনোট কোয়ারেন্টাইনে পাঠাচ্ছে এই দেশ


রাশিয়ার টুলা শহরের ঘটনা। রাজধানী মস্কো থেকে ১০০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত এই শহরের এক হাসপাতালে পুরুষদের ওয়ার্ডে সেবা দেন ওই নার্স। চিনের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রাশিয়ার। ৩০ জানুয়ারি চিনের সঙ্গে ২৬০০ মাইলের সীমান্ত বন্ধ করে দেয় পুতিনের সরকার। তার পরও করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি রাশিয়ায়। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এরই মধ্যে রাশিয়ার চিকিত্সা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহু চিকিত্সক। জানুয়ারি মাসে প্রথম করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল রাশিয়ায়। তার পর থেকে সংক্রমণ বেড়েছে ক্রমশ।