Scotland: এবার দেশ জুড়ে বিনামূল্যে পিরিয়ড প্রডাক্ট, নারী-অধিকারে বড় লাফ...
২০২০ সালে প্রথম এটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয় সে দেশে। স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট এ নিয়ে অনেকদিন থেকেই চিন্তা করছিল। তবে ২০২০ সালের নভেম্বরে সেখানে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। এবং অবশেষে এটি আইনে রূপান্তরিত হল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্কটল্যান্ড বিশ্বে প্রথম দেশ যে পিরিয়ড প্রোডাক্ট ফ্রি করল। সেখানে এই সংক্রান্ত একটি আইনও পাস হয়ে গিয়েছে। সোমবার থেকে তা লাগুও হতে চলেছে। ২০২০ সালে প্রথম এটি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয় সে দেশে। স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট এ নিয়ে অনেকদিন থেকেই চিন্তা করছিল। তবে ২০২০ সালের নভেম্বরে সেখানে এ বিষয়ক একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। এবং অবশেষে এটি আইনে রূপান্তরিত হল। এর ফলে এবার থেকে সে দেশের সরকারি ভবনগুলিতে জনসাধারণের জন্য স্যানিটারি প্রডাক্ট মিলবে। এই বিষয়টি সে দেশের সামাজিক ক্ষেত্রে এক বিরাট পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, সে দেশের নারী ও কন্যাদের ব্যক্তি-স্বাধীনতার ক্ষেত্রে এটি এক বড় পদক্ষেপ হতে চলেছে। সেদেশের জনৈক মন্ত্রী বলেন, এটি এক প্রথাভাঙা অগ্রগমন। মেয়েদের জগতের সাপেক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে দেশের সামাজিক ন্যায় সংক্রান্ত মন্ত্রকের সচিব শোনা রবিসন বলেন, ব্যক্তিক ও সামাজিক সাম্য এবং মর্যাদার দিক থেকে রাষ্ট্রের তরফে এই বিনামূল্যে স্যানিটারি-সহায়ক জিনিসপত্র দেওয়ার বিষয়টি আসলে খুবই বুনিয়াদি একট ব্যাপার। এবং এটি নির্দিষ্ট কিছু শ্রেণির অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাও অতিক্রম করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: 'দুর্দান্ত কাজ করেছেন', ভারতের আশাকর্মীদের সম্মান জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
পিরিয়ড নারী শরীরের এক অভিজ্ঞান। তাকে বরাবরই এমন ভাবে দেখানো হয় যাতে মনে হয়, এটা যেন লজ্জাজনক ও ঘৃণ্য কোনও বিষয়। এ নিয়ে আধুনিক সময়ে নারীরা বহু বার গলা তুলেছে। নানা আন্দোলনও হয়েছে। মুশিকল হল, শুধু পুরুষ নয়, অনেক ক্ষেত্রে নারীরাই সংরক্ষণপন্থী। ফলে যৌথভাবে পুরষ ও প্রাচীনপন্থী মেয়েদের পিছিয়ে-থাকা মানসিকতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে আধুনিক মানসিকতার নারীসমাজকে। পিরিয়ড শুধু যে একটি সামাজিক বিষয়, তা তো নয়, এর সঙ্গে শরীরী বিষয়গুলিও ভীষণ ভাবে সংযুক্ত। মেনস্ট্রুয়াল হেলথ খুব জরুরি একটি বিষয়। এবং যা নিয়ে যথাযথ মাত্রার সচেতনতা খুব কম অংশের নারীরই আছে। সেই ফাঁকটাও ভরাট করা জরুরি। স্কটল্যান্ডে তাই আইনবলে যেটা হল, সেটা আসলে চলতি সামাজিকতা ও পারিবারিকতার প্রেক্ষিতে নারীর শরীরী স্বাধীনতা ও মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রে একটা বড় মাপের লাফ। যা অন্যদেরও প্রভাবিত করবে। যা অন্য দেশের নারী-অধিকারের ক্ষেত্রকেও আগামী দিনে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শক্তিশালী করবে।