Shark That Ate Russian Man: রুশ যুবাকে চিবিয়ে খাওয়া হাঙরের মমি বানাল মিশর, স্থান হল মিউজিয়ামে
চোখের নিমেষেই ওই রাশিয়ান পর্যটকের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলে। চোখের সামনে ছেলেকে প্রাণ হারাতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা। তারপরেই জানানো হয় মমি বানিয়ে মিউজিয়ামে রাখা হল ওই খাতক হাঙরকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সমুদ্র স্নানে গিয়ে বাবার সামনেই ছেলেকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল হাঙর। চোখের সামনেই ছেলের দেহ অতলে তলিয়ে যেতে দেখে সমুদ্রপাড়েই কান্নায় ভেঙে পরেন বাবা। ঘটনাটি ঘটেছিল মিশরে ঘুরতে যাওয়া রাশিয়ান পরিবারের সঙ্গে। ঘটনার পরই হাঙরটিকে ধরে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ। তারপরেই জানানো হয় মমি বানিয়ে মিউজিয়ামে রাখা হল ওই খাতক হাঙরকে।
আরও পড়ুন, Philippines: সকালেই তীব্র ভাবে কেঁপে উঠল ঘরবাড়ি! ভয়াবহ সুনামির আশঙ্কা...
নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ইজিপ্টে। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন এক রাশিয়ান পরিবার। সেখানেই এই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে ছেলেটির। যদিও হাঙরটিকে খুঁজে বের করে তাকে মেরে ওই যুবকের দেহাংশ বের করে প্রাণীকে মমি বানিয়ে ইজিপ্টের মিউজিয়ামে রাখা হয়। ইজিপ্টের স্থানীয় সংবাদসূত্রে বলা হয়েছে, কেন হাঙরটি কেমন ব্যবহার করল? সেই কারণ খুঁজতে ম্যারিন গবেষকরা এই হাঙরটিকে সংরক্ষণ করেছে বলে জানান হয়েছে।
ইজিপ্টের হুরগুডা সমুদ্রে নেমেছিলেন ২৩ বছরের ভ্লাদিমির পপভ। মাথায় হাল আমলের গ্রো প্রো ক্যামেরাও ছিল জলকেলির ভিডিও শ্যুটের জন্য। পপভের বাবা জানান যে তারা এক মুহূর্তের জন্যও বুঝতে পারেননি যে হাঙর রয়েছে তাদের আশেপাশেই। দূর থেকে যেটিকে জলে ভেসে থাকা কিছু মনে করেছিলেন সেটিই যে বিভীষিকার আকার নেবে তা বুঝতে কয়েক মুহূর্ত দেরি হয়ে যায়। সেই সময় ভ্লাদিমিরকে আক্রমণ করে হাঙরটি।
প্রায় দু'ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে ওই হাঙরটির খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর প্রাণীটির অন্ত্র থেকে পাওয়া যায় ভ্লাদিমির দেহাংশও। তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ততক্ষণে শোকের রোল গোটা সৈকতজুড়ে। ছেলের দেহাংশ রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার আর্জিও জানান ক্রদনরত পপভের বাবা। এই সৈকতে যদিও হাঙরের আক্রমণ সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে বেনজির৷ তবে এই ঘটনার পর স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যেও ভীতি সঞ্চার করেছে।