জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার রাতের দিকে খবর এল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী! হাসপাতালে ভর্তি তিনি। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিন্তু কেন এমন ঘটল, কারা ঘটাল, নেপথ্যে কারা? সন্দেহভাজন একজনকে অবশ্য গ্রেফতার করেছে পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Cyclone Remal: ধেয়ে আসছে 'রিমাল'! কবে আছড়ে পড়বে, কোথায়? আয়লার চেয়েও ভয়ংকর এই ঝড় কতটা বিধ্বংসী?


সূত্রের খবর, হ্যান্ডলোভা শহরে 'হাউজ অব কালচার' নামে এক ভবনে সরকারি বৈঠক ছিল। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো। বিকেলে ওই ভবনের বাইরেই প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি চালনো হয়! গুলি লাগে প্রধানমন্ত্রীর পেটে। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হাসপাতালে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনার পরে মুলতুবি হয়ে যায় পার্লামেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর উপর নৃশংস ও নির্মম হামলার নিন্দা করেছেন স্লোভাকিয়ায় প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা। তিনি বলেছেন, 'আমি হতভম্ব। আমি আশা করছি, ফিকো দ্রুত সুস্থ হয়ে কাজে ফিরবেন'।


কিন্তু কে করল এই কাজ, কেন?


এ সম্বন্ধে বৃহস্পতিবার যা জানা গেল, তা তো চমকপ্রদ। ক্রমে 'আততায়ী'র পরিচয় জেনে তাজ্জব সকলে! প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করেছেন এক কবি। সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধ, এক পলিতকেশ লেখক। যাঁর তিনটি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। যিনি এক লিটারেরি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা। লেখক সংঘের সদস্য। পরিচিতজনেরা বলছেন, লেখক এই মানুষটি বরাবরই খুব শান্ত, সুভদ্র। নীতিনিষ্ঠ এবং আদর্শবাদীও। কিছুটা প্রতিবাদীও হয়তো, কিন্তু মোটেই বদরাগী নন। 


এঁর ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি জানাচ্ছেন, তাঁর বাবা ঠিক কী ভেবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন তা তাঁর কোনও ভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না। কেন তিনি এরকম পরিকল্পনা করলেন, ঠিক কী ঘটল, এ সম্বন্ধে তিনি সম্পূর্ণ অন্ধকারেই! তবে তিনি এটুকু জানিয়েছেন, তাঁর বাবা আইনি নিয়মকানুন মেনেই বন্দুকের মালিক। 


আরও পড়ুন: Railway Track on Moon: অচিরেই চাঁদের মাটিতে ছুটবে ট্রেন! কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নাসা...


তবে সমস্ত জায়গা থেকে যা যা জানা গিয়েছে, সেসব জোড়াতালি দিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, তা হল-- এই কবি-ভদ্রলোকটি তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রীর নীতির ঘোর বিরোধী। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রী রাশিয়াপন্থী, পুতিনের কাজের সমর্থক। অথচ, এই কবি ইউক্রেনের মানুষের উপর রাশিয়ার অত্যাচারের বিরোধী। তিনি চান, তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া বা পুতিনের পথ থেকে সরে এসে মানবিক হোক। প্রতিবাদ করুক পুতিনের নীতির। সহমর্মিতায় পাশে দাঁড়াক অত্যাচারিত ইউক্রেনবাসীর। কিন্তু সেটা হচ্ছে না বলেই তিনি মাথা গরম করে প্রধানমন্ত্রীর উপর গুলি চালিয়ে দিয়েছেন! শিরদাঁড়া?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)