Pakistan Taliban: ঘোর বিপাকে শাহবাজ শরিফ, যোদ্ধাদের পাকিস্তান জুড়ে হামলার নির্দেশ তালিবানের
খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার পাশাপাশি গোটা পাকিস্তানেই কড়া ইসলামি আইন জারির দাবিতে লড়াই করছিল তালিবান। পাশাপাশি, সরকারি জেলে তাদের যেসব লোকজন বন্দি ছিল তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয় তারা
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই সবে গদিতে থিতু হচ্ছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এর মধ্য়েই শাহবাজের সামনে এখন ঘোর বিপদ। জুন মাসে সরকারের সঙ্গে হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করল পাক তালিবান। সোমবার দেশের সব জায়গায় তার যোদ্ধাদের হামলা চালানোর নির্দেশ দিল তালিবান শীর্ষ নেতৃত্ব। তালিবানের তরফে যোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মুজাহিদিনদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সরকার। তাই দেশের যেখানেই সম্ভব সেখানেই হামলা চালান।
আরও পড়ুন-রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ, দুরন্ত ফুটবল, শেষে ঘানার গর্জন
২০০৭ সাল থেকে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে তালিবান। এমনকি পেশোয়ারে সেনা স্কুলের কচিকাঁচাদেরও তারা রেওয়াত করেনি। তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান নামে আফগান তালিবানের এই শাখা সংগঠনটিকে নিয়ে প্রবল বেকায়দায় ছিল পাক সরকার। তবে ২০১০ সালে তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে অধিকাংশ যোদ্ধাদের তাড়া করে আফগানিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানের উপজাতি অধ্য়ুসিত এলাকায় একসময় প্রায় সমান্তরাল ইসলামি সরকার চালাতে শুরু করেছিল তারা। ২০১০ সালে পাক সেনার অভিযানের পর তাদের ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়।
এদিকে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠন হওয়ার পর ফের পাকিস্তানে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তালিবান। তার মধ্যেই এবছর জুন মাসে তালিবানের সঙ্গে পাক সরকারের একটি যুদ্ধ বিরতি চুক্তি হয়। তবে সেই চুক্তির পর থেকেই দুপক্ষেরই দাবি ছিল চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার পাশাপাশি গোটা পাকিস্তানেই কড়া ইসলামি আইন জারির দাবিতে লড়াই করছিল তালিবান। পাশাপাশি, সরকারি জেলে তাদের যেসব লোকজন বন্দি ছিল তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয় তারা। কিন্তু পাক সরকার তাতে কান দেয়নি। তার পরেই এবার কড়া সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল তালিবান।