নিজস্ব প্রতিবেদন: থাম লুয়াং গুহাকে ‘জীবন্ত জাদুঘর’ বানানোর পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড সরকার। ১৭ দিনের ভয়াবহ অভিযান এবং তার সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান প্রাক্তন গভর্নর এবং উদ্ধারকারী দলের প্রধান নারংসাক ওসোটানাকর্ন। তিনি জানান, এই গুহাকে জাদুঘর বানানোর একটাই লক্ষ্য কীভাবে অভিযান চালিয়ে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, তার তথ্য  সংরক্ষণ করা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাণিজ্য যুদ্ধে খাড়াখাড়ি চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রভাব এশীয় শেয়ার বাজারে


বুধবার যখন গুহা থেকে সব শিশু এবং তার প্রশিক্ষককে উদ্ধার করা হয়, তখনই সিনেমা বানানোর একটি স্ক্রিপ্ট খসড়া করে ফেলেন দুই হলিউড ছবি নির্মাতা। গুহার ভিতর যে টানটান উত্তেজনা চলছে, তা উপলব্ধি করতে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন তাঁরা। ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ দলের ফুটবলারদের দুঃসাহসিক লড়াই নিয়ে আগামী দিনে সিনেমা যে হবে, নিশ্চিত করে গিয়েছেন নির্মাতারা। ওই খুদে শিশুদের বিশ্বকাপ ফাইনালে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ফিফা প্রেসিডেন্ট-ও।


থাইল্যান্ডের দীর্ঘতম গুহা থাম লুয়াং। মায়ানমার সীমান্তের উত্তর চিয়াং রাইয়ের এই গুহাকে ঘিরে রয়েছে পর্বতমালা। তার কোলে অখ্যাত ছোট্ট শহর মায়ে সাই। পর্যটকের সেভাবে ভিড় নেই এখানে। বিশ্বের দরবারে থাম লিয়াং গুহা এই দু’সপ্তাহে যে খ্যাতি লাভ করেছে, তা ধরে রাখতে চায় থাইল্যান্ড প্রশাসন। সেখানে পর্যটকের ভিড় বাড়াতে এই গুহাকে  জাদুঘর বানানোর পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।


আরও পড়ুন- নিলামে উঠল গিলোটিন, পিছু ছাড়ল না বিতর্ক


উল্লেখ্য, ২৩ জুন থাম লুয়াং গুহা অভিযানে গিয়েছিল ‘ওয়াইল্ড বোয়ার্স’ ফুটবল দলের ১২ জন খুদে এবং তাদের কোচ। প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু হঠাত্ই হড়পা বানে গুহা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় আটকে পড়ে ফুটবলাররা। ন’দিন পর ওই দলটিকে খুঁজে পান দুই ব্রিটিশ ডুবুরি। এরপর চলে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য। থাইল্যান্ড সরকারের পাশে দাঁড়ায় চিন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ।  


আরও পড়ুন- ভারতের পাশেই আছে ইরান, আগামী দিনেও তেল দেবে দিল্লিকে