নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন খাতে ২৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে মোদী সরকার। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে ৩ বছরের মধ্যে ভারতের কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে। কিন্তু কী ভাবে মাত্র ৩ বছরে দেশের সমস্ত কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ হতে পারে, তার ব্যাখ্যা চাইল ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের (WTO) সদস্যরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার জেনেভায় অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বৈঠকে জানতে চাওয়া হয়েছে, কিসের ভিত্তিতে এই বিপুল অঙ্কের টাকা কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন খাতে বরাদ্দ করা হল। শুধু তাই নয়, কোন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ধরে নেওয়া হয়েছে যে ৫ বছরের মধ্যে একই খাতে প্রায় ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা সম্ভব। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের বেশ কয়েকটি সদস্য দেশ এ বিষয়ে ভারতের ব্যাখ্যা চেয়েছে। একই কারণে আমেরিকারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। কারণ, চিনের সঙ্গে শুল্ক সমস্যায় এখন কিছুটা হলেও থমকে গিয়েছে মার্কিন অর্থনীতি। তাই এ বার নতুন কৃষি নীতির মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা চাঙ্গা করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই নতুন মার্কিন কৃষি নীতিও খতিয়ে দেখছেন ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সদস্যরা।


আরও পড়ুন: শপিং মলে বিক্রি হবে পেট্রল-ডিজেল, সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র


কিন্তু ভারত বা আমেরিকা কৃষি ভিত্তিক উন্নয়নের পথে হেঁটে যদি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য একটা লক্ষমাত্র ঠিক করেই থাকে সে ক্ষেত্রে এত প্রশ্ন উঠছে কেন? ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের সদস্যদের যুক্তি, অতিরিক্ত কৃষিজ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন গোটা বিশ্বে ফসল উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট (সর্বোচ্চ) মাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়েছে কৃষিজ পণ্যের বাজার-মূল্যও। সে ক্ষেত্রে কী ভাবে কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতির পথে হেঁটে মাত্র ৩ বছরের মধ্যে কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করে দেওয়া সম্ভব হবে?


চাল রফতানিতে উৎসাহ দিতে ভারত যে ৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে, এই বৈঠকে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়া তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ দিকে নতুন মার্কিন কৃষিনীতি নিয়েও চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, ইউক্রেন ও নিউজিল্যান্ডের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে আমেরিকাকেও।