নিবেদিতা হাজরা, লস অ্যাঞ্জেলস, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:নিউইয়র্ক শহরের মুগ্ধতাকে অস্বীকার করতে পারেনা কেউই, তাই সারা পৃথিবী থেকে সুযোগ পেলে মানুষ অন্তত একবার হলেও আসে বৈচিত্রময় এই শহর টাকে দেখতে। অনেক নির্মম আঘাতের ইতিহাসও বহন করে এই শহর, কিন্তু তাও এই শহর বারবার মাথা তুলে দাঁড়ায়, ঘুরে দাঁড়ায়, আলোয় আলোকিত হয়ে ভরপুর প্রাণশক্তি নিয়ে দিনরাত জেগে থাকে সে। সেই “দ্য সিটি দ্যাট নেভার স্লিপস” এর হৃদস্পন্দন আরও বেশি করে শুনতে পাওয়া যায় টাইমস স্কয়ারে এলে। লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে এই টাইমস স্কোয়্যারে, রেড স্টেয়ারের চারিদিক জুড়ে অসংখ্য বিলবোর্ড লাগানো আর সেই বিলবোর্ডে ২৪ ঘণ্টা ধরে অবিরাম চলে হাজার হাজার বিজ্ঞাপনের ঝলকানি, সেকেন্ডে লক্ষাধিক মানুষের কাছে পৌঁছে যায় কোনো খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, ভয়ংকর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ! জীবন্ত ঝলসাল ৩, গুরুতর আহত ১০...



একটা নির্দিষ্ট সময় অব্দি মানুষ অপেক্ষা করে, সহ্য করে, ধৈর্য্য ধরে। কিন্তু বর্বরতা, পাশবিকতা, বঞ্চনা, মিথ্যে যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন মানুষ পথে নামে মশাল হাতে, লড়াই করে স্বার্থ ভুলে, দেশ সীমানা বেড়াজাল পেরিয়ে। ইতিহাস তাই বলে। তিলোত্তমার ওপর হওয়া নৃশংস ঘৃণ্য অপরাধের বিচারের দাবীতে পথে থেমেছেন আবালবৃদ্ধবনিতা। শুধু কলকাতা শহরেই আটকে থাকেনি এই প্রতিবাদ, আজ প্রায় দুমাস হতে চললো ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে, দেশের বাইরে লাগাতার প্রতিবাদ জারি রয়েছে। সেই প্রতিবাদকে এক ধাক্কায় বহুগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনেই আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের কিছু বাঙালি উদ্যোগ নিয়েছেন এই নৃশংস ঘটনাকে টাইমস্কোয়্যারের বিলবোর্ডে তুলে ধরার, সমস্ত আইনি নিয়ম মেনে এই নৃশংস ঘটনাকে মার্কিন মুলুকের অন্যতম ব্যস্ততম প্রাণকেন্দ্রে তুলে আনার জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে তাদের। তবে যে অসহনীয় পাশবিক যন্ত্রণা নিয়ে তিলোত্তমাকে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে, যে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের গ্লানিকে বুকে চেপে বাকি শেষ জীবন টা কাটিয়ে দিতে হবে তিলোত্তমার বৃদ্ধ বাবা মা কে, সেই সবকিছুর কাছে আমাদের প্রতিবাদগুলো হয়তো অনেক ক্ষুদ্র, তাও সঠিক বিচারের আশায় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে, মনের ভিতর 'ফাইট, কোনি ফাইট' এর আগুনটাকে নিভতে দিলে চলবে না। এই পাশবিক অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর তেজ টা সংক্রমিত হোক ঝড়ের বেগে 'ফ্রম টাইমস স্কোয়্যার টু টালাপার্ক', উঠুক কলরব। সেদিন ভোররাতে তিলোত্তমার আর্তনাদ কেউ শুনতে পায়নি ঠিকই, কিন্তু আশা রাখি, আজ দেশ বিদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের 'WE WANT JUSTICE' এর সম্মিলিত আওয়াজ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে সমস্ত মিথ্যের প্রাচীর, ছিঁড়ে দেবে নৃশংসতার জাল।


 


আরও পড়ুন, হেরিটেজ ভবন জুড়ে কল্কার নক্সা, লন্ডনের শারদীয়া অমল ধবল পালে লেগেছে...



এই প্রথমবার আলো ঝলমলে টাইমস স্কোয়্যার-কে দেখে মুগ্ধতা আসেনি, অসংখ্য মানুষের কোলাহলের মধ্যে, আলোর ঝলকানির মধ্যে বিলবোর্ডে তিলোত্তমার নামটা দেখতে দেখতে চোখটা ভিজে আসছিলো আর বারবার মনে হচ্ছিল, হতেও তো পারতো আর কিছুদিন বাদে তিলোত্তমা নিউইয়র্কে কোনো মেডিকেল সেমিনারে যোগ দিতে এসে কাজ শেষে টাইম স্কোয়্যারে ঘুরতে এসে রেডস্টেয়ারে বসে ক্যামেরাবন্দী করছে ব্যস্ত শহর টাকে বাড়ি ফিরে মা-কে দেখাবে বলে। 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)