নিজস্ব প্রতিনিধি— তিনিই বলেছিলেন, লকডাউনের জন্য আমেরিকার জন্ম হয়নি। তাঁর খামখেয়ালিপনার জন্য ভুগতে হল কয়েক হাজার আমেরিকাবাসীকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি তাই ঘৃণা উগড়ে দিচ্ছে আমেরিকা। প্রতিবাদের অনেক রকম ভাষায়। আমেরিকার বৃহত্তর বাসিন্দা মনে করছেন, তাঁদের দেশে এই মৃত্যু মিছিলের জন্য দিয়ি একমাত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনা মোকাবিলায় রাষ্ট্রনেতা হিসাবে তিনি ব্যর্থ। তার অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্তের জন্যই আমেরিকায় এত মানুষের প্রাণ গেল. সঠিক সময় লকডাউন ঘোষণা করলে এবং যতাযথ পদক্ষেপ নিলে হয়তো আমেরিকার এই করুণ ছবি দেখতে হত না! বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছিল, লকডাউন ছাড়া মৃত্যু মিছিল রোখার আর কোনও পথ নেই। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সেসব কথায় কান দেননি। তিনি একরোখা, বদমেজাজি। কারও কোনও কথা শোনেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও পর্যন্ত ৮৩, ৪২৫ জন মানুষ আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় পনেরো লাখ মানুষ এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়বে তা আর বলে দিতে হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন তারও এক সপ্তাহ আগে নিতে হত! তবে হয়তো কিছুটা রোধ করা যেতে পারত সংক্রমণ! বাঁচতে পারত অন্তত ৪৮ হাজার প্রাণ। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প কারও কথা শোনেননি। আর তাই ট্রাম্পের নামে এবার মৃত্যুঘড়ি চালু হয়েছে। সেই ঘড়ি দেখাচ্ছে, আমেরিকায় কত মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আর উপরে লেখা রয়েছে— ট্রাম্প ডেথ ক্লক। প্রতিবাদ এমনও হয়!


আরও পড়ুন— চিনের নতুন কাণ্ড! অল্পের জন্য রক্ষা পেল গোটা নিউ ইয়র্ক শহর


সেই ঘড়িতে রোজ সংখ্যা বদলাচ্ছে। দুশ্চিন্তার বিষয়, সংখ্যা রোজই উর্ধ্বমুখী। একদিনও সেই সংখ্যা স্থির থাকেনি। আমেরিকার স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ কমানো যেত! যদি সঠিক সময় প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়া হত! চিন থেকে ছড়ানো ভাইরাসে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছেন আমেরিকায়। এত মৃত্যু দেখার পর মার্কিনীদের আর মাথার ঠিক নেই। ভয়ে, আতঙ্কে, মৃত্যুর হাতছানির মাঝে দিন কাটছে সেখানে সবার।