নিজস্ব প্রতিবেদন: বিমানবন্দর যাওয়ার পথে ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের ২ কর্মীকে সোমবার আটক করে আইএসআই। দিনভর টানা পোড়েনের পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়। তার পরেই প্রকাশ্যে এল তাদের ওপরে কী ধরনের অত্যাচার করেছে আইএসআই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির জন্য় সুখবর! পুজোর সময় থেকে শুরু হচ্ছে IRCTC ট্যুর, জেনে নিন নয়া নিয়মকানুন


সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী ওই ২ কর্মীর বিরুদ্ধে হিট অ্যান্ড রান কেস দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় আইএসআই হেফাজতে তাদের ওপরে অকথ্য অত্যাচার করা হয়।  রড দিয়ে মারধর করা হয় তাদের, নোংরা জল খেতে দেওয়া হয়, মারধর করে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করতে বাধ্য করা হয় দুই কর্মীকে।


সোমবার সকাল আটটা নাগাদ তাঁরা ইসলামাবাদ বিমানবন্দর যাচ্ছিলেন হাইকমিশনের ২ কর্মীকে আনতে। হাই কমিশনের কাছেই একটি পেট্রোল পাম্পে তাদের আটক করে আইএসআই। দুজনের চোখ বেঁধে হাতকড়া পরিয়ে দেওয়া হয়। ৫টি গাড়িতে ১৫-১৬ পুলিস কর্মী এসে তাদের একটি অজানা জায়গায় তুলে নিয়ে যায়।


এদিন সকালে ওই দুই কর্মীর নিখোঁজ হওয়ার খবর ছড়াতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় সাউথ ব্লকে। শুরু হয় ত্পরতা। ডেকে পাঠানো হয় দিল্লিত নিযুক্ত পাকিস্তানের চার্জ ডিঅ্য়াফোয়ার্স সৈয়দ হায়দার শাহরে। ওই আটকের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করা হয়। সোজা জানিয়ে দেওয়া হয়, আটক ২ কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ বা হেনস্থা করা যাবে না। তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পাকিস্তানকেই নিতে হবে।  তারপরেই জানা যায় আইএসআই হেফাজেত রয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনের ওই দুই কর্মী।


আরও পড়ুন-আবার হবে ১৪ বছর পর! ২১ জুন সারা দেশের সঙ্গে বিরল মহাজাগতিকের সাক্ষী থাকবে কলকাতাও


সূত্রের খবর ওই দুই কর্মীকে মারধর করে অ্যাক্সিডেন্ট করার স্বীকারোক্তি করিয়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি এও বলিয়ে নেওয়া হয়, বাইরে থেকে গাড়িতে লোক এনে হাই কমিশনে তাঁরা মিটিং করার ব্যবস্থা করছিলেন। সেইসব স্বীকারোক্তির ভিডিয়ো করা হয়।  সকাল থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত তাঁদের জেরা করে আইএসআই। এইসময়ে তাদের লোহা ও কাঠের রড দিয়ে মারধর করা হয়। হাই কমিশনের কোন অফিসার কী কাজ করে তা বলানোর চেষ্টা করা হয়।