Ukraine: কথা হল বাইডেন-পুতিনের; সমঝোতার রাস্তা কি আদৌ খোলা আছে?
বাইডেন-পুতিন ফোন-আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রুশসেনার মিলিটারি অ্যাকশন ঘটার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। এবং এই প্রেক্ষিতে তিনি দৃঢ়স্বরে বলেছেন, তা বলে সব রাস্তা এখনও বন্ধ হয়ে যায়নি, আলোচনা করে সমঝোতার রাস্তা বের করার অবকাশ এখনও রয়েছে।
যদিও মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজও পাশাপাশি চলেছে। যা নিয়ে টেনশন ছড়িয়েছে। সদ্য অস্ট্রেলিয়াও কিয়েভে তাদের দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নিয়েছে।
এর আগেই ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিল। একই ঘোষণা করেছিল জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস। লাটভিয়া সরকারও ইউক্রেনে অবস্থিত তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছিল। সব চেয়ে বড় কথা, একই নির্দেশ দিয়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও। বাইডেন বলেছিলেন-- ইউক্রেনে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকদের অবিলম্বে ওই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। বাইডেন কেন হঠাৎ এ কথা বললেন তা নিয়েও শুরু হয়েছিল নতুন চাপানউতোর।
ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফোনে ১ ঘণ্টার মতো আলোচনাও হয়েছে বাইডেন-পুতিনের। কিন্তু তাঁদের সেই আলোচনা খুব ফলপ্রসূ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে, তা নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের নানা শঙ্কা, বিশ্বের সংশ্লিষ্ট দেশগুলির উত্তেজনার নিরসন হয়নি।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় দেড় লক্ষ সেনা পাঠানোর পর শুরু হয়েছে আর এক 'ঠান্ডা যুদ্ধ'। প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে দু'পক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে ফেলার কথা বললেও রুশ সেনা বাহিনী এখনও অকুস্থল থেকে পিছু না হঠায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে তাই রাশিয়া ও আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে প্রকারান্তরে এক ঠান্ডা যুদ্ধই শুরু হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। সব পক্ষই এখন শ্বাসরুদ্ধ করে ঘটনাক্রমের প্রতি নজর রাখছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধের পরিস্থিতিতে Ukraine, Kyiv ত্যাগ করল Australia