ঋণগ্রস্ত পাকিস্তানকে দেওয়া অর্থ সাহায্যের ৪৪০ মিলিয়ন ডলার ছাঁটল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
আর্থিক সাহায্য কমিয়ে ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করল মার্কিন মুলুক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দরবার করে এসেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজল না। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ঋণের ভারে জর্জরিত পাকিস্তানকে দেওয়া আর্থিক সহযোগিতা ছেঁটে দিল ওয়াশিংটন।
বরাদ্দ অর্থ সাহায্য থেকে ৪৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তা কমিয়ে করে দেওয়া হল ৪.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বর ও চলতি বছর জানুয়ারি অর্থ সাহায্যে কাটছাঁট করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গত মাসে ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ইমরান খান। তাঁর মার্কিন সফর নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছিল পাকিস্তান। ট্রাম্পের দেশে প্রথাগত সম্মান পাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরের তিন সপ্তাহ আগেই আর্থিক সহযোগিতায় কাটছাঁটের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইমরান খানকে। বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট বলেছিলেন, 'পাকিস্তানকে কয়েক বছর ধরে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহযোগিতা করছি। কিন্তু পাকিস্তান আমাদের জন্য কিছুই করেনি। আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে তারা। গতবছরই তাই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছি।'
পাকিস্তান এনহ্যান্সড পার্টনারশিপ চুক্তি ২০১০ (PEPA) অনুযায়ী, ইসলামাবাদকে আর্থিক সহযোগিতা করে ওয়াশিংটন। ২০০৯ সালের অক্টোবরে কেরি লুগার বারমান আইন পাশ হয় মার্কিন কংগ্রেসে। ওই আইন অনুযায়ী, ৫ বছর ধরে পাকিস্তানকে ৭.৫ বিলিয়ন আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
চলতিবছর জানুয়ারিতে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য কাটছাঁট করেছিল পেন্টাগন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজে প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, মার্কিন বিদেশ সচিব জেমস ম্যাটিস ও অন্যান্য আধিকারিকরা মনে করেন, হক্কানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। গতবছর সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসদমনে ব্যর্থ হওয়ায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন- ভিডিয়ো: পাক সাংবাদিককে জবাব দিয়ে হৃদয় জিতলেন ভারতের প্রতিনিধি আকবরউদ্দিন