জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অবশেষে চিনের প্রেসিডেন্টের দিক থেকে এল শান্তিপ্রস্তাব। প্রতীক্ষিতই ছিল। জি জিনপিংয়ের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকের পরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার জন্য শান্তি প্রস্তাব দিয়েছে চিন। প্রস্তাবগুলিকে স্বাগতও জানিয়েছে রাশিয়া। পুতিন-জিনপিং বৈঠকের পরে রাশিয়া ও চিনের দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে-- যত দ্রুত সম্ভব শান্তি-আলোচনা শুরুর জন্য রাশিয়ার নিষ্ঠার প্রশংসা করছে চিন। ইউক্রেন-দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্থিতাবস্থার জন্য চিনের সদিচ্ছা এবং উপযোগী ভূমিকাকে স্বাগত জানায় রাশিয়া। সেই বিবৃতির শিরোনাম দেওয়া হয়েছে-- ডিপেনিং দ্য কম্প্রিহেনসিভ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ অব কোঅর্ডিনেশন ফর দ্য নিউ এরা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দেড়শো বছর আগে ভাবনার শুরু, বদলে-যাওয়া আবহাওয়ার জন্য এখন প্রতিদিনই উদ্বিগ্ন পৃথিবী...


শক্তিশালী রাষ্ট্রের নেতার বিদেশসফর সব সময়ই তাৎপর্যপূর্ণ। জি জিন পিংয়ের ক্ষেত্রেও সেটাই ঘটেছে। আন্তর্জাতিক মহলের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও ইউক্রেনের উপর রুশ-আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। তবে এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাশিয়ায় গিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, সেখানে শান্তিস্থাপকের ভূমিকায় দেখা যেতে পারে জি জিনপিংকে। এতদিনে এটা স্পষ্ট, ইউক্রেন-রাশিয়া দ্বন্দ্বে বরাবর রাশিয়ার পাশেই থেকেছে চিন। সরাসরি রাশিয়াকে সাহায্য না করলেও পশ্চিমি দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়ে তাদের পাশেই ছিল বন্ধুরাষ্ট্র।


আরও পড়ুন: World's Loneliest Woman: মাইনাস ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বসবাসকারী বিশ্বের নিঃসঙ্গতম মহিলা কেন পুতিনের ভয়ে কাঁপছেন?


রাশিয়া চিনের পুরনো বন্ধু। ইউক্রেনে হামলা করার পরে পশ্চিমি দুনিয়া প্রায় একঘরে করার চেষ্টা করেছে রাশিয়াকে। চিন কিন্তু রাশিয়ার পাশ থেকে সরেনি। এই পরিস্থিতিতেই চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জিনপিংয়ের রাশিয়াসফরের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সফরের ব্যাপারে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, শান্তিস্থাপনেই বিশেষ উদ্যোগ নেবেন চিনা প্রেসিডেন্ট।


তবে এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে আমেরিকা-ইউরোপের বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। কারণ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি বা রাশিয়াকে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে কখনও সেভাবে বলেনি চিন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়না জারি করেছে। আদালতের চোখে রুশ প্রেসিডেন্ট যুদ্ধোপরাধী। শুধু তাই নয়, ইউক্রেন থেকে বেআইনিভাবে শিশুদের রাশিয়ার নির্বাসনে পাঠিয়েছেন তিনি, এই অভিযোগও তাঁর বিরুদ্ধে!


আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের এই পরোয়ানা নিয়ে বিশ্ব-রাজনৈতিক মহলে নানা নেতা নানা কথা বলেছেন। খোদ রাশিয়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছে, তাদের কাছে এই গ্রেফতারি পরোয়ানার কোনও মূল্য নেই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)