আইনের মধ্যে দিয়ে নিজের শাসনকালের মেয়াদ বাড়ালেন পুতিন, সমালোচনায় মুখর বিরোধীরা
মেয়াদ পূর্ণ করলে স্টালিনকেও টপকে যাবেন পুতিন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ছ'বছর করে আরও দু'টি মেয়াদ প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সুযোগ রেখে করা আইনে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আইনটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ায় পুতিন নিজের ক্ষমতায় থাকার সম্ভাবনার দরজাও খুলে দিলেন। আইন মোতাবেক ২০৩৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবেন তিনি। এখনই পুতিন দুই দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন।
সাংবিধানিক সংস্কারের অংশ হিসেবে গত বছর এই পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন পুতিন (Russian President Vladimir Putin)। গত বছর জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে এই প্রস্তাবকে জোরালো ভাবে সমর্থন করেন রুশ জনগণ। গত মাসে বিলটি অনুমোদন পায়। বিলটি আইন হিসেবে অনুমোদন পাওয়ায় পুতিন তাঁর চলতি মেয়াদ শেষে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন। তাঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ camp 7 অবশেষে বন্ধ করল US
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে পুতিন প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তখন তিনি চার বছর করে মোট দু'টি মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে তখন টানা তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা সম্ভব ছিল না তাঁর। তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ। সমালোচকদের মতে, মেদভেদেভ ছিলেন পুতুল প্রেসিডেন্ট। মেদভেদেভ রুশ প্রেসিডেন্টের মেয়াদকাল চার থেকে বাড়িয়ে ছ'বছর করেন। এই নিয়ম ২০১২ সাল থেকে কার্যকর হয়। ২০১২ সালে পুতিন ফের প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
পুতিনবিরোধীরা এই আইনের তীব্র সমালোচনা করছেন। সমালোচকেরা বলছেন, পুতিন আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার জন্য এই কৌশল করেছেন।
আরও পড়ুন: গৃহবন্দি জর্ডনের রাজকুমার Hamzah bin Hussein