নিজস্ব প্রতিবেদন: ২০০৪ সালের পর ফের ইন্দোনেশিয়ায় আঘাত হানল সুনামি। যদিও এবার গতবারের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপে আঘাত হাতে সুনামি। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, জলের তোড়ে মৃত্য হয়েছে ১৬৮ জনের। আহত কমপক্ষে ৭০০। আহত ও নিহতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে।


আরও পড়ুন-তৃতীয়বার বিয়েতে আপত্তি করাতেই খুন প্রাক্তন স্বামী, খড়দা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য


ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমুদ্রের গভীর আগ্নেয়গিরির অগ্নুত্পাতের জন্যই ওই সুনামির সৃষ্টি হয়েছে। কোনও আগাম সতর্কতা ছিল না। ফলে ক্ষতক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।


জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মুখপাত্র সুতোপো পারও নুগ্রোহো সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হঠাত্ করেই বিশাল বিশাল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দক্ষিণ সুমাত্রা ও পশ্চিম জাভা উপকূলে। জের তোড়ে ভেঙে পড়েছে বিশাল বিশাল বিল্ডিং। ভেঙেপড়ে সমুদ্র তীরবর্তী ঘরবাড়ি, দোকনপাট।


আরও পড়ুন-সেনা পাথর ছোড়া ও গাল দেওয়া যায়, আর কত স্বাধীনতা চাই? নাসিরুদ্দিনকে প্রশ্ন অনুপমের


প্রত্যদর্শীদের বিবরণে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কারিটা বিচে মহম্মদ বিনটাং নামে এক কিশোর জানিয়েছে, হঠাত্ করেই সুমদ্রের জল ফুলে উঠে আছড়ে পড়ল বিচে। তারপর সবকিছুই অন্ধকার হয়ে গেল। লুথফি আল রশিদ নামে এক পর্যটক জানিয়েছেন, বিশাল ঢেউ এত দ্রুত আছড়ে পড়ে যে আমি আমার বাইক স্টার্ট করার সময় পাইনি। কোনও দিকে না তাকিয়ে যতদূর পেরেছি দৌড়েছি।


উল্লেখ্য ২০০৪ সালে ভয়ঙ্কর এক সুনামির আঘাতে তছনছ হয়ে যায় ইন্দোনেশিয়া। মারা যান ১,২০,০০০ জন মানুষ।