জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আন্টার্কটিকার গ্লেসিয়ার গলছে। আন্টার্কটিকার যে-গ্লেসিয়ারটি গলছে, তার নাম থয়েটস, যাকে ডুমসডে গ্লেসিয়ারও বলে। এর আকার প্রায় ফ্লোরিডার মতো। এটি গললে পৃথিবী জুড়ে সমুদ্রজলের স্তর বাড়বে প্রায় ৩ মিটার বা ৯.৮ ফুট! যা পৃথিবীর অস্তিত্বের পক্ষে খুবই ভয়ংকর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: North Korea: বাড়িতে বাইবেল থাকলেই মৃত্যুদণ্ড? যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দু'বছরের শিশুর...


আন্টার্কটিকা মানেই ধবধবে সাদা বরফ। একটা গোটা মহাদেশে বরফ ছাড়া কিছুই নেই। পৃথিবীর দক্ষিণের এই মহাদেশের চারদিকে সাদা তুষারের চাদরে। আগে আন্টার্কটিকায় এত বরফ ছিল না। তখন এখানকার আবহাওয়া ছিল বাসযোগ্য। সসময়ে সবুজে ঢাকা ছিল আন্টার্কটিকা। আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশ প্যানজিয়া নামক একটি বিরাট ভূখণ্ডের অন্তর্গত ছিল। এক সময় সেটি ভেঙে যায় দু’টি ভূখণ্ডে— লরেশিয়া ও গন্ডোয়ানাল্যান্ডে। আন্টার্কটিকা ছিল গন্ডোয়ানাল্যান্ডেরই অংশ। 


আরও পড়ুন: Extreme Weather: আবহাওয়া নিয়ে আঁতকে-ওঠার মতো অবস্থা! মাত্র কয়েক বছরে ২০ লক্ষ মৃত্যু...


তখন আন্টার্কটিকা অবস্থান করত বিষুবরেখার কাছে। এর আবহাওয়া অত্যন্ত উষ্ণ ছিল। গড় তাপমাত্রা ছিল ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেসময় আন্টার্কটিকায় সমুদ্রের তীরে দেখা মিলত পাম গাছের সারির। পরে জলবায়ু তুলনামূলক শীতল হতে থাকলে অস্ট্রেলিয়ার পাশ থেকে ভেঙে যেতে শুরু করে আন্টার্কটিকা। একসময় চারপাশে সমুদ্রবেষ্টিত হয়ে পড়ে এই মহাদেশ। তখনই ধীরে ধীরে বরফ জমতে শুরু করে এই ভূখণ্ডে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আন্টার্কটিকায় প্রথম বরফ জমা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কোটি বছর আগে। তাপমাত্রা কমে যায় প্রায় ১৫ ডিগ্রি। এর সঙ্গে শুরু হয় মেরুঝড়ের।  পৃথিবীর দক্ষিণে অবস্থিত হওয়ায় কুমেরু অঞ্চলে প্রায় টানা ৬ মাস দেখা মেলে না সূর্যের আলোর।


এরপর ধীরে ধীরে শীতলতম মহাদেশ হয়ে ওঠে আন্টার্কটিকা। শীতলতম ও শুষ্ক আবহাওয়া হলেও এখানে এখনও দেখা মেলে একাধিক প্রাণীর। তবে, বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে বরফমহাদেশের বরফও এখন গলছে। যা নিয়ে বিজ্ঞানীরা প্রবল উদ্বিগ্ন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)