World`s Largest Banana Species: কলা পাকতে সময় লাগে পাঁচ বছর, এর ওজন কত জানলে অবাক হয়ে যাবেন...
কলাপাতায় খেয়েছেন, কাঁঠালি কলা পুজোয় দিয়েছেন আবার উচ্চ রক্তচাপের জন্য থোড়ের রস খেয়ে জেরবার... তবে এই বিশাল কলা কখনও দেখেছেন?
শতরূপা কর্মকার: ফলের রাজা আম হলেও সবচেয়ে পুষ্টিকর কিন্তু কলা। তাই ডাক্তাররা আর কিছু না খেতে না বললেও ফলের মধ্য়ে অন্তত কলা খেতে বলেন। বাঙালিদের কাছে কলা ও কলা গাছ খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি কলাপাতায় খায়, কলা গাছ ও কলা সরাসরি পুজোর কাজে লাগে। কিন্তু তবুও, কোনও বাঙালিই সম্ভবত তিন কেজির কলা দেখেনি। আপনি কখনও দেখেছেন?
অদ্ভুত হলেও সত্যি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে এমনই দৈত্যাকার এক কলার প্রজাতি। নিউ জিল্যান্ড থেকে কিছু দূরে সাগরঘেরা দেশ পাপুয়া নিউ গিনি। সেখানেই দেখা মিলেছে এই কলা গাছের। লম্বায় প্রায় নারকেল গাছের সমান এই কলা গাছ। ৫০ ফুটের কলা গাছটির প্রজাতির নাম 'মুসা ইনজেন্স' (Musa ingens)। এই কলাগাছের উচ্চতা অবশ্য এর চেয়েও বেশি হয়। 'মুসা ইনজেন্সে'র পাতাগুলির আকৃতিও বিশাল। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট হয় পাতাগুলির দৈর্ঘ্য। এক-একটি কলা লম্বায় প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার এবং ওজনে প্রায় ৩ কেজি!
আরও পড়ুন: Accenture Layoffs: ফের ছাঁটাই! আগামিদিনে ১৯ হাজার কর্মী কাজ হারাবেন, বুক কাঁপছে সকলেরই...
'দেখা মিলেছে' বললে অবশ্য একটু ভুল হয়। ১৯৫৪ সালেই এই কলা গাছ প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট পর্যন্ত লম্বা একটি 'মুসা ইনজেন্স' সবচেয়ে লম্বা কলাগাছ হিসেবে 'গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে' স্বীকৃত। তবে ২০২০ সালে এটি বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন রিজার্ভ একে বিপন্ন প্রজাতি রূপে 'লাল' তালিকাভুক্ত করেছিল।
বাঙালিদের পাতে কলা পড়ে নানান পদের মোড়কে। তার মধ্যে রয়েছে কাঁচকলা ভাজা, কাঁচকলার কোপ্তা আর পাকা কলার কেক বা স্মুদি। প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকার জন্য এর পুষ্টিগুণ অসাধারণ। রোগীর পথ্য হিসেবেও তাই কলার ডাক পড়ে সবার আগে, সে কাঁচা হোক বা পাকা। কলার চাষও বাজারে জনপ্রিয় ও লাভজনক।
আরও পড়ুন: Canada’s Population: সারা বিশ্বকে নিজের দেশে আহ্বান জানিয়েছিল কানাড! দেখুন, তার ফলে কী ঘটল...
আমাদের অতি চেনা কলার মতোই হয় এই দৈত্যাকার কলা। গোল বাদামি দানাযুক্ত শাঁস থাকে খোসার ভেতরে। পার্থক্য একটাই। বিশালাকৃতির এই কলা পাকতে সময় নেয় পাঁচ বছর। তাই বাণিজ্যিক ভাবে এর চাষ করা যায় না। পাপুয়া নিউ গিনির ক্রান্তীয় বৃষ্টিচ্ছায় অঞ্চলের অরণ্যে স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নেয় এই কলা গাছ। তাই কখনও কোনও ব্যক্তির কপালে এই কলা খাওয়ার সুযোগ ঘটলে মানতেই হবে তিনি ভাগ্যবান।