জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় লাউ গাছের পাতা তুলতে গিয়ে ঘটল এক অবিশ্বাস্য় ভয়ঙ্কর ঘটনা। একই পরিবারের দুইজনসহ ঐ এলাকার মোট তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল এই ঘটনায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায় যে, বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়াড়া বেগম রান্না করার জন্য লাউয়ের পাতা তুলতে বাড়ির পিছনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন, কিন্তু মই দিয়ে উঠে লাউ পাতা পাড়তে যাওয়ার সময়, নিচে থাকা টয়লেটের ঢাকনা ধসে গিয়ে টয়লেটের গর্তে পড়ে যান। মাকে বাঁচানোর জন্য তাঁর ছোট ছেলে ইদা মিয়া সেই টয়লেটের গর্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এবং তারপর শেষমেষ তাঁদের ওপরে উঠে আসতে না দেখে পাশের বাড়ির তবারক মিয়ার ছেলে ইবলুল মিয়া তাঁদের উদ্ধার করার প্রচেষ্টা করেন, এবং নিজেও গর্তের মধ্যে নেমে যান। কিন্তু তারপর তিনজনের কাওকেই উঠে আসতে দেখা যায়নি। 


আরও পড়ুন: Hina Khan: ক্যানসার রুখতে কেমো, সাধের চুল কেটে ফেললেন হিনা!


শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের, উদয়পুর গ্রামে,বৃহস্পতিবার সকালবেলা সাড়ে ছটার দিকে, এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার নিহতরা হলেন, বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম; যার বয়স ৫৬, বাদশা মিয়ার ছেলে হুদা মিয়া; যার বয়স ৩৫ ও প্রতিবেশি তবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া যার বয়স ৩৫। মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ,এই পুরো বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 


পরবর্তীতে তাঁদের উদ্ধার করার জন্য় মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসে জানানো হয়, এবং একটি ফায়ার সার্ভিসের দল আসেও কিন্তু উদ্ধার কাজে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে এই ঘটনা রংপুর ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়, তারপর ঘটনাস্থলে আরেকটি দল এসে হাজির হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দুইটি ইউনিট মিলে কয়েক ঘন্টার চেষ্টায় উদ্ধার কার্য সম্পন্ন করেন। প্রথমে ইবলুল, তারপর ইদা ও শেষে তার মা দেলোয়াড়া বেগমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ।


আরও পড়ুন: Luv Sinha on Sonakshi's wedding: জাহিরের বাবার রহস্যময় দুবাই-যোগ! সেই কারণেই কি সোনাক্ষীর বিয়ে এড়ালেন দাদা লব?


মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রধান রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন- ঘটনার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার ডিফেন্স কর্মীরা টয়লেটের সেফটি ট্যাংক থেকে ওনাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও ব্যর্থ হলে ওনারা রংপুরের ফায়ার ও ডিফেন্স কর্মীদের অবগত করেন এবং তাঁদের সঙ্গে নিয়ে মোট দুইটি ইউনিট মিলে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলেই মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানিয়েছেন। অসাবধানতার কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)