World Sanskrit Day: এর বয়স ৩,৫০০ বছর, স্যর উইলিয়ম জোনস পর্যন্ত এর প্রেমে মুগ্ধ ছিলেন...
১৯৬৯ সালে প্রথম সংস্কৃত দিবস পালিত হয়েছিল। ভাষাটা অবশ্য বড়ই প্রাচীন। প্রায় ৩,৫০০ বছরের পুরনো! অতীত ভারতের সঙ্গে ওতপ্রোত বিজড়িত এই ভাষাটি। একে `দেবভাষা`ও বলা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এই একটি ভাষা নিয়ে ভারতীয়দের ভালোবাসা-তর্ক-বিতর্কের যেন কোনও শেষ নেই। আজ হয়তো আার ঘরে ঘরে চর্চা হয় না ভাষাটির। কিন্তু আজও সে ভারতীয়ের মনের নিভৃতে রয়ে গিয়েছে। নাম তার সংস্কৃত। ভাষাটিকে রক্ষা করতে প্রতি বছর পালিত হয় সংস্কৃত দিবস। বিশ্ব সংস্কৃত দিবস প্রতিবছর শ্রাবণপূর্ণিমায় পালিত হয়। যে কোনও ভাষার উদযাপনই অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু সংস্কৃত এত বেশি করে ভারতীয় ভাষা, এটি এত বেশি করে ভারতীয় সংস্কৃতি-স্পেসিফিক যে, এটা নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কিছু ঘটলে দেখলে অনেকেরই হয়তো প্রাথমিক ভাবে একটু বিস্ময় জাগে! কিন্তু ভুললে চলবে না, ভারতে সংস্কৃতকে মনে করা হয় মাদার অফ অল ল্যাঙ্গোয়েজ হিসেবে। ফলে এমন একটি ভাষা নিয়ে বহির্ভারতের কৌতূহল তো থাকবেই। সেই আগ্রহের বশেই সংস্কৃত নিয়ে ভাবনাচিন্তা।
তবে খুব বেশি দিনের কথা অবশ্য নয়। ১৯৬৯ সালে প্রথম সংস্কৃত দিবস পালিত হয়েছিল। ভাষাটা অবশ্য বড়ই প্রাচীন। প্রায় ৩,৫০০ বছরের পুরনো! অতীত ভারতের সঙ্গে ওতপ্রোত বিজড়িত এই ভাষাটি। একে 'দেবভাষা'ও বলা হয়। পুরাণবিশ্বাস-- দেবতারা নাকি এই ভাষাতেই কথা বলতেন!
আরও পড়ুন: World Elephant Day: এশিয়ার হাতি কি সংকটে? বিশ্ব হাতি দিবসে ফিরে দেখা...
সংস্কৃত ভাষার দুটি ভাগ--বৈদিক সংস্কৃত, ধ্রুপদী সংস্কৃত। বৈদিক সংস্কৃত উপনিষদ, পুরাণ ও ঋগ্বেদের একটি অংশ। বেদ মোটামুটি আড়াই-তিন হাজার বছর আগে রচিত বলে মনে করা হয়। এর অনেক পরে, অনেক বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে ধ্রুপদী সংস্কৃত ভাষার জন্ম। ব্যাস, বাল্মীকি, ভবভূতি, কালিদাস প্রমুখ নানা কবি এই ধ্রুপদী সংস্কৃতে রচনা করেছেন। ইংরেজ পণ্ডিত স্যর উইলিয়ম জোনস এই প্রাচ্যবিদ্যা নিয়ে প্রভূত গবেষণা করেছেন। তাঁর এই সব বিদ্যা পরে ভারতের সংস্কৃত ভাষা চর্চায় ও সংরক্ষণে প্রচুর কাজে এসেছে।
সংস্কৃত ভাষার প্রচলন এখন আর সেভাবে নেই। তবে ভবাষাটিকে ঠিক মৃত বলা যায় না। এখনও বহু হিন্দু আচারবিধি সংস্কৃত ভাষাতেই সম্পন্ন হয়। এখনও প্রাচীন ভারত সম্বন্ধে জানতে সংস্কৃত পুঁথিরই স্মরণ নিতে হয়।
গৌরবের কথা, আজ ভারতীয় উপমহাদেশে বা এশিয়ায় এ ভাষার যা চর্চা তার চেয়ে বহু বহু গুণ বেশি চর্চা ইউরোপের মাটিতে। বিশেষত জার্মানিতে সংস্কৃত অত্যন্ত চর্চিত একটি ভাষা। সেখানে ভবাষাটির নিরন্তর গবেষণা চলছে।