মালদা : মাত্র ২৫১ টাকায় মিলছে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল। BPL তালিকাভুক্ত  নাগরিকরাও  কিনে ফেলতে পারেন স্বল্পমূল্যের এই ফোন। পা রাখতে পারেন ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপের বিশ্বব্যাপী যোগাযোগে। অথচ মাত্র ২৮০ টাকার জন্য এই দেশেই, এক স্কুলছাত্রীর বন্ধ হয়ে গেছে স্কুল যাওয়া। ২৮০ টাকা জোগাড় হয়নি বলে স্কুলে ভর্তি হওয়া হয়নি মালদার এক স্কুলছাত্রীর। টাকা ছাড়া ভর্তি করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে রাইট টু এডুকেশনের দেশ ভারতের একটি সরকারি স্কুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুলের  মাইনে বাকি। বন্ধ স্কুলে যাওয়া। পণ্ডিতমশাই যুগের এমন কাহিনি এখন অতীত। নতুন রাষ্ট্রভাবনায় শিক্ষা এখন সংবিধান প্রাপ্ত মৌলিক অধিকার। সংবিধানের ৮৬ নম্বর সংশোধনী ২১-A ধারায় রাষ্ট্রে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রত্যেক শিশুকে বিনামূল্যে আবশ্যিক শিক্ষার বর্ম।


কিন্ত এ সবই তো আইনের কথা । মানতে বয়েই গেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের। অন্তত পুরাতন মালদার মুচিয়া চন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে Right to education-এর  অধিকার খাটে না। খাটে না বলেই স্কুলে পড়ার সুযোগ পেল না শিখা মণ্ডল।


মাত্র ২৮০ টাকার জন্য মাঝপথে থমকে গেছে মুচিয়ার নিমুয়া গ্রামের শিখা মণ্ডলের  লেখাপড়া। ক্লাস সিক্স থেকে সেভেনে উঠেছিল শিখা। মা লোকের বাড়িতে কাজ করেন। বাবা শয্যাশায়ী। এগারো বছর বয়সের শিখা পড়ছিল সরকারি স্কুলে। আর তা হবে না।