ওয়েব ডেস্ক: মাছ ধরার ছিপের কাঁটা তৈরি করে টিকে রয়েছে আস্ত একটা গ্রাম। বাঁকুড়ার অখ্যাত সেই গ্রামের তৈরি কাঁটা পাড়ি দেয় বিদেশেও। মহাজনদের হাত ধরে কাঁটা বিদেশে পাড়ি দিলেও ভাত জোটাতে হিমশিম খাচ্ছেন কাঁটা তৈরির কারিগররা। টোপ । আর ধৈর্য। মাছ ধরার মূল মন্ত্র। কাঁটায় চার গুজে পুকুরে ছিপ ফেলে নিষ্পলক জলের দিকে তাকিয়ে থাকা। কাঁটাও যেমন তেমন হওয়া চলবে না। মাছ অনুযায়ী কাঁটা। রুই,মৃগেল,কাতলা আর পুঁটি ধরার কাঁটাতো এক হতে পারে না। হয়ও না। আর সেই কাঁটা আসে বাঁকুড়া থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন  বন্ধুত্বের দিনে সেরা প্রাণহীন ১০ বন্ধু আর বিশ্বের সেরা দুই বন্ধুকে সেলাম


বাণিজ্যিক ভাবে মাছ উত্‍পাদনের সঙ্গে ছিপের কাঁটার তেমন সম্পর্ক নেই। কিন্তু সখের দুপুরে কিম্বা বাড়ির পুকুরে মাছ ধরার জন্য ছিপের থেকে বলীয়ান আর কে। আর এই ছিপে মাছ ধরার সখ শুধু এ রাজ্যে বা এদেশেই আছে এমনটা নয়। বিদেশেও ছিপ নিয়ে পুকুর পাড়ে দিন কাটিয়ে দেওয়ার মত লোকের অভাব নেই। যাঁরা ছিপে মাছ ধরেন চার তৈরির জন্য মালমশলা জোগাড় করতে তারা পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তে যতে পারেন। আর পৃথিবীর যেকোনও প্রান্তেই কিন্তু প্রায় সুলভেই পাওয়া যায় বাঁকুড়ার শিল্পীদের তৈরি মাছ ধরার কাঁটা। কিন্তু যাঁরা এই কাঁটা তৈরি করেন তাদের কথা জানে কজন। কাঁটা তৈরি করতে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দিন কাটে বহু মানুষের তাদের চলে কী করে? সে খবর রাখেনা কেউই। বাঁকুড়ার দু নম্বর ব্লকের মগরা গ্রামের চারশর বেশি মানুষ শুধু মাছ ধরার কাঁটা তৈরি করেই জীবন কাটাচ্ছেন। প্রজন্মের পর প্রজন্ম। দিনভর পরিশ্রম করে পরিবার পিছু বড়জোর হাজার পাঁচেক কাঁটা তৈরি করতে পারেন। মহাজন প্রতি হাজার কাঁটার জন্য কুড়ি টাকা দেয়।  সকাল ছটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত কাজ।


আরও পড়ুন  আপনি মোটা হলে, আপনার অজান্তে এই সর্বনাশা ঘটনাও ঘটছে!


বাঁকুড়ার তৈরি কাটা চলে যাচ্ছে বিদেশে। লাভবান হচ্ছেন মহাজন। অথচ যাঁর বানাচ্ছেন কাঁটা, মাছতো দূরের কথা ভাত জোটানোও মুশকিল তাদের পক্ষে। আজি হতে মোর ধনে আছে তোর অংশ। ফুল্লরার বারমাস্যা শুনে ফুল্লরাকে আশ্বস্ত করেছিলেন পার্বতী। কিন্তু সে তো কবিকঙ্কন মুকুন্দরামের কাহিনীতে। যার মাছেরা কাঁটা তৈরি করেন তাঁদের বারমাস্যা শুনে কে এগিয়ে আসবেন।