`বন দফতর এনজয় করার দফতর হয়ে গেছে`, ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর
জঙ্গলমহলে বসে বন দফতরের কাজে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকালয়ে হাতির হানা যেভাবে বাড়ছে, তানিয়ে বিরক্তি চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর তোপ থেকে রেহাই পায়নি পুলিস বিভাগও। গণপিটুনিতে মৃত্যু বন্ধ করতেই হবে, ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মমতার।
ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গলমহলে বসে বন দফতরের কাজে চরম ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকালয়ে হাতির হানা যেভাবে বাড়ছে, তানিয়ে বিরক্তি চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর তোপ থেকে রেহাই পায়নি পুলিস বিভাগও। গণপিটুনিতে মৃত্যু বন্ধ করতেই হবে, ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে নির্দেশ মমতার।
রাজ্যে বেড়েছে হাতির সংখ্যা। ভিন রাজ্য থেকেও হাতিরা চলে আসছে এরাজ্যে। হাতির হানায় নষ্ট হচ্ছে ফসল, প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে । ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে অন্যান্য দফতরের সঙ্গে বন দফতরের কাজের পর্যালোচনা হয়। আর সেখানেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রীর। দফতরের কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমি ভীষণ বিরক্ত। মানুষের জীবনের দাম নেই? দরকার হলে দফতর উঠিয়ে দিন। বন দফতর ঢেলে সাজান, মুখ্য সচিবকে বলেছি, বন দফতর এনজয় করার দফতর হয়ে গেছে"।
প্রয়োজনীয় নির্দেশের পাশাপাশি হাতিরা যাতে নিরাপদে সংরক্ষিত এলাকায় থাকতে পারে সেবিষয়েও উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেন পুলিস বিভাগকেও। গণপিটুনিতে মৃত্যু নিয়ে তাঁর উদ্বেগ চেপে রাখেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধ কমাতে ওসিদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকে রেশন ডিলারদের একাংশের প্রতি ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।