আন্দোলনে জোর আনতে সংগঠন ভেঙে নতুন স্ট্র্যাটেজি সিপিএমের
আন্দোলনের গতি আনতে এবার কৃষক সভা ভেঙে খেত মজদুর কমিটি নামে নতুন একটি শাখা সংগঠন করল সিপিএম। খেত মজদুরদের এই নতুন সংগঠনের সম্পাদকের দায়িত্বে থাকছেন মদন ঘোষ। গত ছ`মাস ধরেই নতুন সংগঠনের তত্বাবধনে ছিলেন তিনিই।
ওয়েব ডেস্ক: আন্দোলনের গতি আনতে এবার কৃষক সভা ভেঙে খেত মজদুর কমিটি নামে নতুন একটি শাখা সংগঠন করল সিপিএম। খেত মজদুরদের এই নতুন সংগঠনের সম্পাদকের দায়িত্বে থাকছেন মদন ঘোষ। গত ছ'মাস ধরেই নতুন সংগঠনের তত্বাবধনে ছিলেন তিনিই।
ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির শাখা সংগঠন কিষাণ সভার আনুষ্ঠানিক শুরুটা ১৯৩৬ এ। তখনও দেশ স্বাধীন হয়নি। কমিউনিস্টরা সব এককাট্টা। কমিউনিস্ট আন্দোলনের ধারা বেয়ে তেভাগার মত কৃষক আন্দোলন অবিভক্ত বাংলায় আলোড়ন ফেলে দেয়। তারপর সেই এককাট্টা সংগঠনে বিভাজন। গঠিত হয় সিপিআই আর সিপিএম। কিন্তু ষাটের দশকের সেই বিভাজনের জেরে AIKS অর্থাত্ অল ইন্ডিয়া কিষাণ সভায় বিভাজন হয়নি। ভাগ হয়েছে আরও অনেক পরে। সিপিএমের ভাগে আসা সেই কৃষক সভা ফের ভাগ হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ভাঙড় আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে সিপিআইএম-এর সমাবেশ
তবে এবার দলভাগের কারণে ভাগাভাগি নয়। এই বিভাজন দলীয় আন্দোলনকে মজবুত করতে। আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার আনতে এবার কৃষক সভাকে ভেঙে তৈরি হল নতুন একটি সংগঠন, খেতমজদুর কমিটি। গত ছ মাস ধরেই নতুন এই শাখার তত্ত্বাবধান করছেন সিপিএম নেতা মদন ঘোষ, তুষার ঘোষেরা। মোটামুটি ঠিক হয়েছে, আনুষ্ঠানিক ভাবে এই দুজনকে সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
অন্যদিকে কৃষক সভার সম্পাদকের দায়িত্বে থাকছেন অমল হালদার, সভাপতি নৃপেন চৌধুরী। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করছে, কৃষক ও খেত মজদুর দুই অংশকে একত্রিত না করে, যদি পৃথক ভাবে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি হয়, তাতে আদতে লাভবান হবে দুটি সংগঠনই।