রোগ সারাতে ওঝার শরণাপন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এক আদিবাসী যুবকের!
পুরুলিয়ার বরাবাজারে রোগ সারাতে ওঝার শরণাপন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক আদিবাসী যুবকের। মৃত কালীপদ হেমব্রমের বাড়ি বলরামপুর থানার বহরাডি গ্রামে। ওঝা ঝাড়ফুক শুরু করার পরেই মারা যান কালীপদ। সরকারি কমিউনিটি হলের মধ্যেই চলত ওঝার কারবার।
ওয়েব ডেস্ক: পুরুলিয়ার বরাবাজারে রোগ সারাতে ওঝার শরণাপন্ন হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক আদিবাসী যুবকের। মৃত কালীপদ হেমব্রমের বাড়ি বলরামপুর থানার বহরাডি গ্রামে। ওঝা ঝাড়ফুক শুরু করার পরেই মারা যান কালীপদ। সরকারি কমিউনিটি হলের মধ্যেই চলত ওঝার কারবার।
আরও পড়ুন শীত কী চলে এলো? কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
এই বৃদ্ধ ভদ্রলোককে চেনেন না এমন মানুষ বোধহয় বরাবাজার এলাকায় নেই। বলতে গেলে গোটা বলরামপুর জুড়ে পরিচিত সুখদেব সিং সর্দার। এলাকায় কমিউনিস্ট আন্দোলনের পুরোধা। সিপিএমের লোকাল কমিটির সেক্রেটারি ছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। নাস্তিক ছিলেন। এখন বৃদ্ধ হয়েছেন। যে ওঝা, ঝাড়ফুক, ডাইনি প্রথার বিরুদ্ধে সারাজীবন লড়েছেন ----এখন বোধহয় বিশ্বাস করেন। তাই জনহিতের জন্য জমি দান করে সরকারি যে কমিউনিটি হল বানিয়েছিলেন সেখানে এখন জামাইকে সুযোগ করে দিয়েছেন ওঝাগিরি করার। জামাই কালীপদ সিং এখানে ওঝাগিরি করেন।ওখানেই রোগা সারাতে গিয়েছিলেন বলরামপুর থানার বহরাডি গ্রামের বাসিন্দা কালীপদ হেমব্রম। ওঝার নিদান অনুযায়ী, নারকেল, কাপড়, জোড়া মুরগি সব যোগানই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঝাড়ফুঁক শুরু হতেই বুকে ব্যথা নিয়ে মৃত্যু হয় কালীপদর। তবে এসব অভিযোগ তিনি মানতে নারাজ।মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকা উত্তেজনা ছড়ায়।পরে পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন এই পাঁচ ভারতীয়র টাকায় প্রায় ২০টা রিও অলিম্পিক আয়োজন করা যাবে!