ওয়েব ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায়। দুপক্ষের সংঘর্ষে চলে বোমা,গুলি। সংঘর্ষে খুন হয়েছেন তিন জন। এরমধ্যে ঘরে ঢুকিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় এক বৃদ্ধকে। বাঁচাতে গেলে টাঙির কোপে মৃত্যু হয় তাঁর বৌমার। ঘটনার জেরে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে দুপক্ষই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে নৃশংস ভাবে খুন হলেন এক মহিলা সমেত তিনজন তৃণমূল কর্মী। সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও চোদ্দ জন। ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাতে। আর তারপর থেকে যা ঘটলো মধ্যযুগীয় নৃশংসতাকেও  তা হার মানায়।


 


একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাকে ঘিরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের অভিযোগ
বেশ কিছু দিন ধরেই তৃণমূলের দলীয় কোন্দলে  ব্যতিব্যস্ত গড়বেতা। গড়বেতায় তৃণমূলের বর্তমান  ব্লক সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ আর  প্রাক্তন ব্লক সভাপতি দিলীপ পালের গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বহুদিনের। বৃহস্পতিবার আউশবাঁধি গ্রামে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভাতেই দুই পক্ষের গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন উভয়পক্ষের পাঁচ জন। আহতদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


এরপরেই গোলমাল ছড়িয়ে পড়ে লাগোয়া গ্রামগুলিতে। চলে বোমা, গুলি। শুক্রবার সকালে একাডিয়া গ্রামের মল্লিক পাড়ায় হামলা হয়। হামলা হয় সেবাব্রত ঘোষ গোষ্ঠীর অনুগামী সিরাজ মল্লিকের ওপর। কান কেটে, মাথায় গুলি চালিয়ে খুন করা হয় তাঁকে।



অভিযোগ দিলীপ পালের অনুগামী দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা  হামলা হয় একাডিয়া গ্রামের মণ্ডল পাড়ায়। মণ্ডল পাড়ায় দিলীপ পাল অনুগামীদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।


সত্তর বছর বয়সী আলম মণ্ডলের গায়ে পেট্রোল ঢেলে বন্ধ ঘরে ঢুকিয়ে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। বাঁচাতে গিয়ে টাঙ্গির কোপ খেয়ে মৃত্যু হয় আলম মণ্ডলের বৌমার।


অভিযোগ, এত সবকিছু ঘটে পুলিসের সামনেই। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঘটনা ঘটলেও পুলিস কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটলেও দর্শকের ভূমিকা নেওয়া ছাড়া পুলিসের আরকোনও ভূমিকা ছিল না।