ওয়েব ডেস্ক: আক্রান্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই থানায় নালিশ। নালিশ ঠুকে দিলেন বারাকপুরের রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কৃষ্ণকলি বসু। কলেজে খবর করতে গেলে সাংবাদিকদের আটকে রেখে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গতকালই পুলিসে যাওয়ার হুমকি দেন তিনি। আজ কথা রাখলেন ওয়েবকুপার সভানেত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কথা রাখলেন ওয়েবকুপার সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসু। শুক্রবার খবর সংগ্রহ করতে গেলে কলেজে আটকে রেখে সাংবাদিকদের হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তখনই পুলিসে অভিযোগ করার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। আর এদিন আক্রান্ত সাংবাদিকদের নামেই থানায় নালিশ ঠুকে দিলেন রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।


আরও পড়ুন- শিলিগুড়িতে বিক্ষোভের মুখে অশোক ভট্টাচার্য্য


দুবছর আগে কৃষ্ণকলি বসুকেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্কালীন উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দিকে আঙুল তুলে চড়া সুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছিল। দুবছর পর ফের খবরের শিরোনামে ওয়েবকুপার সেই বিতর্কিত সভানেত্রী। শুক্রবার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন উপলক্ষে কয়েকজন শিক্ষক মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তা ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে বহিরাগতরা।
আগে থেকেই শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ ছিল,  মনোনয়নপত্রই তুলতে দিচ্ছে না তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা। গোলমালের খবর সংগ্রহে কলেজে গেলে বাধার মুখে পড়েন সাংবাদিকরা। অধ্যক্ষের নির্দেশে শ'খানেক লোক তাঁদের ঘিরে ধরে রীতিমতো শাসায়। আটকে রাখা হয় একটি ঘরে।


আরও পড়ুন- ব্রিটিশ আমলের কায়দায় সেজে উঠছে দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন


এখানেই শেষ নয়। চব্বিশ ঘণ্টা পর আক্রান্ত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই বারাকপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। চব্বিশ ঘণ্টা সহ পাঁচটি সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই নালিশ ঠুকে দেন কৃষ্ণকলি বসু। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের এহেন  আচরণে শিক্ষামহলে নিন্দার ঝড়।
ভীতি প্রদর্শন ও বিনা অনুমতিতে প্রবেশ, এই দুই ধারায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিস।