পাহাড়ের ধস আনেকটাই `ম্যানমেড`, দাবি স্থানীয়দের
আশ্বিন শেষের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। ধস নেমে বন্ধ রাস্তা। আটক পর্যটকরা। বিপন্ন জনজীবন। কেন? প্রাকৃতিক বিপর্যয় অবশ্যই। তার সঙ্গে উঠে আসছে ম্যান মেড কারণও।
ওয়েব ডেস্ক: আশ্বিন শেষের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়। ধস নেমে বন্ধ রাস্তা। আটক পর্যটকরা। বিপন্ন জনজীবন। কেন? প্রাকৃতিক বিপর্যয় অবশ্যই। তার সঙ্গে উঠে আসছে ম্যান মেড কারণও।
খরস্রোতা তিস্তায় কালিঝোরার কাছে ন্যাশনাল হাইডেল পাওয়ার কর্পোরেশনের জলবিদ্যুত্ প্রকল্প। রাজ্যের বিদ্যুত্ মানচিত্রে উজ্জ্বল নক্ষত্র। কিন্তু, প্রকল্প নিয়ে কিছু অভিযোগও রয়েছে। কালিঝোরা জলবিদ্যুত্ প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবেশপ্রেমী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশয।
জলবিদ্যুত্ প্রকল্পে ১৮৪ হেক্টর বনভূমি নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। বনভূমি নষ্টের ফলে পাহাড়ি এলাকায় মাটির বাঁধন আলগা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ। বাঁধ দিয়ে খরস্রোতা তিস্তার গতিরোধ হওয়ায় ওই এলাকাতেই জমছে জল। তিস্তার জল তলা দিয়ে চুঁইয়ে চুঁইয়ে নরম করে দিচ্ছে আশপাশের এলাকার মাটি।
আরও পড়ুন- লক্ষীপুজোর দিন সমাজে 'লক্ষীদের' ঠিক কী অবস্থান
শুধু তাই নয়, প্রকল্প নির্মাণের জন্য তিস্তাপাড়ের পাথর আর নুড়িই সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এতে তিস্তার দুই পাড়ের বাঁধনও ঢিলে হচ্ছে। রয়েছে আরও বড় বিপদের আশঙ্কাও। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী কালিঝোরা এলাকা ধসপ্রবণ এবং ভূমিকম্প প্রবণ। প্রকল্পের সার্ভে রিপোর্টে এই বিষয়গুলিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাঁধের ফলে পরিবেশ ও জনজীবনে কী প্রভাব পড়ে তা নতুন করে খতিয়ে দেখার দাবি উঠছে।