ওয়েব ডেস্ক: কান ঘেঁষে কোনওমতে বেরিয়ে যাওয়া নয়। এবার শাসকের লক্ষ্য সম্মানজনক জয়ের ব্যবধান। আর গ্রামীণ বর্ধমানে আবার সুদিনের অপেক্ষায় সিপিএম। মন্তেশ্বরের মাটিতে যুযুধান দুই দলই ভালো ফলের আশায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গ্রামীণ বর্ধমানে লাল নিশান এখন ফিকে। নিচুতলার কর্মীদের বড় অংশ হয় নিষ্ক্রিয়। না হয় শাসকদলের দিকে পা বাড়িয়ে। দু-হাজার এগারোর পালা বদলেও মন্তেশ্বর ধরে রেখেছিল সিপিএম। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে গত বিধানসভা ভোটে মন্তেশ্বর হাতছাড়া হয় তাদের।


আরও পড়ুন সৌরভকে খোঁচা দিতে রবি শাস্ত্রীকে এখন এসবও বলতে হচ্ছে!


উপ-নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে তৃণমূলের তরুণ প্রার্থী সৈকত পাঁজা। দলের সর্বক্ষণের কর্মী ওসমান গনি সরকারকে প্রার্থী করেছে সিপিএম। বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিত পোদ্দার। কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছেন বুলবুল আহমেদ সেখ।


বিধায়ক সজল পাঁজার মৃত্যু হওয়ায় মন্তেশ্বর বিধানসভা আসনে উপ-নির্বাচন হচ্ছে। গত বিধানসভা ভোটে সিপিএম প্রার্থীকে সাতশো ছয় ভোটে হারিয়ে দেন তিনি। দু-হাজার চোদ্দোর লোকসভা নির্বাচনে মন্তেশ্বরে এগিয়ে ছিল তৃণমূল।


বিধানসভা ভোটে গোটা রাজ্যে বিপুল জয়ের পরও যে আসনগুলিতে দলীয় প্রার্থীরা হেরেছেন বা জয়ের ব্যবধান খুব কম, সেই আসনগুলির ওপর বাড়তি নজর দিচ্ছে তৃণমূল। মন্তেশ্বরে গতবার জয়ের মার্জিন খুব কম থাকায় বাড়তি সতর্ক তারা। ভোটারদের মন জয়ে প্রচারের শেষ লগ্নে ব্যাঙ্ক-ATM-এ ঘুরে বেড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী, প্রয়াত বিধায়ক সজল পাঁজার ছেলে সৈকত পাঁজা।


আরও পড়ুন নয়া নোটে নাকি চিপ? গুজব নাকি সত্যি জেনে নিন


উপ-নির্বাচনে তৃণমূলের ইস্যু উন্নয়ন। প্রয়াত বিধায়কের ছেলের হাত ধরে তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি। নোট বাতিলে মানুষের দুর্ভোগ। আর বিরোধীদের ইস্যু রাজনৈতিক সন্ত্রাস, দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, উন্নয়ন ঠিকমতো না হওয়া।


গত বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের জোট ছিল। এ বার জোট না থাকায় তৃণমূল বাড়তি সুবিধা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মন্তেশ্বরে সৈকত পাঁজাকে জেতানোর ভার তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের ওপর। দলীয় প্রার্থীর জয়ের ব্যবধান কত হল তার ওপর নির্ভর করছে মন্ত্রিমশায়ের স্কোর-কার্ডও। প্রচার-পর্বে ঘাসফুলের প্রার্থী তরুণ সৈকত এলাকা চষে ফেলেছেন। ঘুরেছেন দরজায় দরজায়। উপ-নির্বাচনে বাবার চেয়ে ছেলের জয়ের ব্যবধান বাড়ে কিনা এখন সেদিকেই তাকিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহল।