ওয়েব ডেস্ক: অভাবের সংসার। কালী পুজোর আগে বাড়তি উপার্জনে স্থানীয় একটি বাজি কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিল রাহুল। সেখানেই বিধ্বংসী আগুনেই ঝলসে মৃত্যু হল ওই কিশোরের। খালি হল মায়ের কোল। আট বছর পরেও বদলায়নি ছবিটা। দুহাজার আট সালে জুলফিকর আলি মণ্ডলের এই বাড়িতেই বাজি মজুত থাকাকালীন অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনজন। এবারও সেই বাজির গুদামেই বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ১৩ বছরের রাহুল দাসের। নারায়ণপুরের নীলগঞ্জ শিক্ষায়তন স্কুলের ক্লাস নাইনের মেধাবি ছাত্র। অসচ্ছ্বল পরিবারের আয় বাড়াতে, পড়াশুনার ফাঁকে কাজের চেষ্টা করছিল রাহুল। সেই সময় তাকে বাবার বাজির গুদাম পাহাড়া দেওয়ার প্রস্তাব দেয় জুলফিকর আলির ছেলে। দৈনিক দেড়শো টাকায়। সামনে ছিল বাজি কেনার হাতছানি। তাই কালী পুজোর আগে লোভনীয় প্রস্তাব ছাড়তে পারেনি রাহুল। মায়ের শত আপত্তি সত্ত্বেও, সোমবারই প্রথম অভিশপ্ত কারখানায় কাজ করতে যায় রাহুল। তারপর? গুদামে বিধ্বংসী আগুন কেড়ে নিল তরতাজা একটি প্রাণ। দীপাবলির আগেই খালি হল মায়ের কোল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন জীবনের সেরা শিক্ষাটা কোনও ক্রীড়াবিদ হিসেবে আমাদের দিয়েছেন অনিল কুম্বলে


কিছুতেই থামছে না মায়ের কান্না। গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার। প্রশাসনের কাছে বেআইনি বাজি কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও।


আরও পড়ুন  জানেন আমাদের কোটি টুইটে সবথেকে বেশি কোন খাবারের নাম থাকে?