ওয়েব ডেস্ক: আবার নতুন করে আশায় বুক বাঁধছে সিঙ্গুর। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুরু হয়ে গেল জমি জরিপের কাজ। জরিপে কাজে লাগানো হয় ড্রোনও। চলছে আগাছা সাফ করার কাজ। এর পরেই জমি চিহ্নিত করা হবে। তার পর সেই জমি ফিরে যাবে কৃষকদের হাতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দশ বছরের অপেক্ষা, কাটা তারের ওপারে থাকা জমি, নিজের জমি একদিন যেখানে সোনার ফসল ফলত সেই জমি। দশ বছর সেই জমিতে হাত পড়েনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশর পর ফের একবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে সিঙ্গুর।


আরও পড়ুন- 'আজ বিজয় দিবস, আজ বিজয় দিবস'


চাষযোগ্য করে সব কৃষককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে জমি। বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার থেকেই সেই মত কাজ শুরু হয়ে গেল। সকাল আটটা বাজার আগেই সিঙ্গুরে পৌছে যান সরকারি কর্মীরা। এর পরেই সিঙ্গুরে পৌছন জেলা শাসক সঞ্জয় বনশল এবং এসপি প্রবীণ ত্রিপাঠি। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন জেলাশাসক এবং পুলিস সুপার।


প্রশাসনের তরফে ঠিক হয়েছে প্রথমে জমির আগাছা সাফ করা হবে। সেই জন্য ঘাস কাটার যন্ত্র আনা হয়েছে। নিয়ে আসা হয়েছে চারটি হার্ভেস্টার মেশিন । কলকাতা পুরসভা থেকে আনা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি।


আরও পড়ুন- এখন কিন্তু সিঙ্গুর 'এটাই' চাইছে!


আকাশ পথে জমি মাপতে নিয়ে আসা হয়েছে ড্রোনও। আর সরকারি এই তত্পরতা শুরু হতেই ফের একবার স্বপ্ন  দেখছে সিঙ্গুর- দশ দশটা বছর খণ্ডহর হয়ে পড়েছিল এই জমি। বর্ষার  মেঘ কেটে গিয়ে আকাশে এখন শরতের সোনা ঝড়া রোদ, সেই সোনালি রোদেই ফের আশার আলো সিঙ্গুরের চোখে। প্রজেক্ট এরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাশফুলে সিঙ্গুরে এখন নতুন দিনের আগমনী সুর।