ওয়েব ডেস্ক: বামেদের ধর্মঘট। পাশে নেই কংগ্রেস,তৃণমূল। ফাটল JDU-এর নিজের ঘরেও। দেশজুড়ে আক্রোশ দিবস কর্মসূচির আগেই নোট ইস্যুতে ছন্নছাড়া হাল বিরোধী শিবিরের। নোট ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিরোধী দলগুলি একমঞ্চে আনার কাজটা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দফায় দিল্লিতে সেভাবে কাউকে পাশে না পেলেও, দ্বিতীয় দফায় অনেকটাই সফল হন তৃণমূল সুপ্রিমো। বুধবার সংসদ চত্বরে হাত হাত ধরে মোদী সরকাররের বিরুদ্ধে সরব হয় বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল-জেডিইউ। যন্তর মন্তরে মমতার ধরনায় দেখা যায় শরদ যাদব-জয়া বচ্চনদের।  বিরোধী ঐক্যের রেড লেটার ডে-তে মঞ্চ থেকেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষপর্যন্ত পরিকল্পনার সঙ্গে মিলল না  বাস্তব।  JPC নিয়ে বাকি দলগুলির সঙ্গে তৃণমূলের মতানৈক্য ছিলই। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিল বামেদের ডাকা বনধ। প্রকাশ্যে চলে এল বিরোধীদের ফাটল। নোট ভোগান্তির প্রতিবাদে কেরল, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে বনধের ডাক দিয়েছে বামেরা। অথচ,বনধের বিরোধিতা তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত স্ট্যান্ড। ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে কোনও বনধকে সমর্থন করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও,রাস্তায় নেমে চিরশত্রু বামেদের বনধ মোকাবিলার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর মতোই বামেদের ডাকা বনধে পাশে নেই কংগ্রেসও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন নির্বিঘ্নে শেষ হল SSC-র নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা


শুধু মতে নয়। কর্মসূচির নাম নিয়েও মতবিরোধের ছাপ স্পষ্ট। কংগ্রেস ও বাকি বিরোধিরা যখন দেশজোড়া কর্মসূচিকে গণ আক্রোশ দিবস বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন রাস্তায় নামছেন গণবিদ্রোহ দিবসের ডাক দিয়ে। তবে, জোট কাহানিতে সবচেয়ে বড় টুইস্ট JDU। নোট ইস্যুতে শুরু থেকেই  মোদীকে নীতিগত সমর্থন করে আসছিলেন  নীতীশকুমার। অথচ, সংসদে বিরোধী ঐক্যেও আগাগোড়া হাজির থাকতে দেখা যায় শরদ যাদবকে। মমতার ধরণা মঞ্চে দাঁড়িয়ে নোট বিরোধী আন্দোলনকে দেশের প্রতি কোনায় পৌছে দেওয়ার ডাক দেন JDU সাংসদ। শনিবারও জানান সেকথা। রবিবার নোট ইস্যুতে দলের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করল JDU।  দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল,JDU সোমবারের আক্রোশ দিবসে সামিল হচ্ছে না তারা। সবমিলিয়ে, আক্রোশ দিবসের ঠিক আগে বিরোধী ঐক্যের যা হাল তাতে আরও চওড়া হচ্ছে মোদী শিবিরের হাসি।


আরও পড়ুন অশ্বিন-জাদেজার ব্যাটিংয়েই উঠে দাঁড়ালো ভারত