ওয়েব ডেস্ক: নাবালিকা বিবাহের চেষ্টা করায় পুলিস বিয়ে ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু, তর সইছিল না স্বরূপনগরের সোহাগ মিস্ত্রীর। এ বার একেবারে দলবল নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা। বাধা পেয়ে গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি। যদিও, শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা পড়ে যাওয়ায় জামাইবাবাজির ঠিকানা এখন শ্রীঘর।  মাস দেড়েক আগে বাদুড়িয়ার বাসিন্দা ক্লাস সেভেনের এই ছাত্রীর বিয়ের চেষ্টা হয়। পাত্র স্বরূপনগরের সাঁড়াপুল ডাকবাংলো এলাকার বাসিন্দা কলেজ ছাত্র সোহাগ মিস্ত্রী। নাবালিকা বিয়ের খবর পেয়ে বিয়ের আসরে পুলিস নিয়ে হাজির হন বিডিও। বিয়ে ভেঙে যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য


অভিযোগ, কয়েকদিন পরই মেয়েটিকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করে সোহাগ। পুলিসের ভয় দেখিয়ে বাড়ির লোকেরা সোহাগের বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে আসেন। স্বরূপনগরে বারঘরিয়ায় মামাবাড়িতে মেয়েটিকে পাঠিয়ে দেন তাঁরা। শনিবার সন্ধেয় বারঘরিয়ায় নাবালিকার মামাবাড়িতে দলবল নিয়ে চড়াও হয় সোহাগ। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়েটিকে অপহরণের চেষ্টা করে তারা। তাকে নিয়ে বাইকে পালানোর চেষ্টা করলে বাধা দেন গ্রামবাসীরা।বাধা পেয়ে সোহাগ ও তার দলবল গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে নাবালিকার দাদুর মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারা হয়।পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও সোহাগকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। এক প্রস্থ আড়ং ধোলাইয়ের পর তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রবিবার জামাইবাবাজিকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। বিচারকের নির্দেশে আপাতত চার দিনের জন্য থানার লক-আপে ঠাঁই হয়েছে তাঁর।


আরও পড়ুন  হোম থেকে উদ্ধার কিশোরীর দেহ