ওয়েব ডেস্ক: জেলায় জেলায় উন্নয়ন প্রকল্পের ছক তৈরি। তৃণমূল স্তরে কাজ। খরচ বিশাল। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাত তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। ফলে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যেতে, এবার বিদেশি ঋণের দিকে ঝুঁকল রাজ্য। ঋণের অঙ্ক সবমিলিয়ে প্রায় আট হাজার কোটি টাকা।উন্নয়ন খাতে এর আগেই বড়সড় কোপ পড়েছে কেন্দ্রীয় অনুদানে। যার প্রভাব পড়ছে, রাস্তা তৈরি, পানীয় জল প্রকল্প, একশো দিনের কাজ সহ বহু ক্ষেত্রে। কিন্তু যে কোনও মূল্যে উন্নয়নই লক্ষ্য। নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। ফলে এই পরিস্থিতিতেও, উন্নয়নের গতি যাতে কোনওভাবে না আটকায়, সেজন্য তত্‍পর পঞ্চায়েত দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন কবে কমবে বৃষ্টি, কী বলল আবহাওয়া দফতর?


পুরুলিয়ায় পানীয় জল প্রকল্পে নব্বইটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে প্রশাসন। এর খরচ যোগাতে ZAIKA থেকে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে।বাঁকুড়ায় পানীয় জল প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে ঋণ দিয়েছে প্রায় এগারোশো কোটি টাকা। আরও বারোশো কোটি টাকা ঋণ দেবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। পশ্চিম মেদিনীপুরেও পানীয় জল প্রকল্প রূপায়ণে ঋণ নেওয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার নোদাখালিতে বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণে তৈরি হচ্ছে পানীয় জল প্রকল্প। এজন্য লাগছে প্রায় চোদ্দোশো কোটি টাকা। এর ফলে বাসন্তী, পাথরপ্রতিমা, কুলপি সহ দশটি ব্লক জল-সঙ্কট থেকে মুক্তি পাবে।পূর্ব মেদিনীপুরেও কোলাঘাটে তিনশো কোটির, নন্দীগ্রামে চারশো কোটি টাকার পানীয় জল প্রকল্প হাতে নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর। উত্তরবঙ্গে তিস্তার জল নিয়ে গড়ে তোলা হবে পানীয় জল প্রকল্প। এর খরচ চারশো কোটি। সবমিলিয়ে এ প্রায় পাঁচ হাজার কোটির ঋণের ধাক্কা। শুধু পানীয় জল প্রকল্পই নয়, রাস্তা তৈরির ক্ষেত্রেও এক ছবি।প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায়, এতদিন রাস্তা তৈরির খরচ পুরোটাই দিত কেন্দ্র। এবার খরচের ষাট শতাংশ দেবে কেন্দ্র, বাকি চল্লিশ শতাংশ খরচের ভার বইতে হবে রাজ্যকে। পঞ্চায়েত দফতরের হিসেব অনুযায়ী, সবমিলিয়ে চল্লিশ নয়, দিতে হবে খরচের প্রায় পঞ্চাশ শতাংশই। গতবছর মোট প্রায় বারো হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছিল এরাজ্যে। এবার টার্গেট দশ হাজার কিলোমিটার রাস্তা। প্রতি কিলোমিটার রাস্তা তৈরির খরচ ষাট লক্ষ টাকা। অর্থাত্‍ মোট প্রায় ছ হাজার কোটি টাকা খরচ। এর মধ্যে তিন হাজার কোটি দিতে হবে রাজ্যকে। যার পুরোটাই ঋণ নিতে হচ্ছে। উন্নয়নের চাকা গড়াচ্ছে ঠিকই, তবে অন্যদিকে বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা স্বভাবতই চিন্তাও বাড়াচ্ছে।


আরও পড়ুন  34B হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিট ছেড়ে, এবার নয়া ঠিকানায় মুখ্যমন্ত্রী?