ওয়েব ডেস্ক: ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালিয়েও বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। অভিযোগ দায়ের হওয়া সত্ত্বেও, দাপুটে ছাত্রনেতার টিকি ছোঁয়ার সাহস দেখায়নি পুলিস। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর কড়া নির্দেশে শুরু হল নড়াচড়া। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন বিশ্বজিত রায়। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের রাশ তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে? যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্‍ রায় গোষ্ঠীর হাতে? নাকি TMCP জেলা সভাপতি প্রসেনজিত দাস গোষ্ঠীর হাতে? তা নিয়েই মারামারি। ক্যাম্পাস জুড়ে তাণ্ডব। অশান্তির পিছনে অন্যতম হোতা হিসেবে উঠে আসে যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্‍ রায়ের নাম। ছয়ই ডিসেম্বর ইংরেজবাজার থানায় বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিস ছুঁতে পারলে তো! জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের অনুগামী হিসেবে পরিচিত বিশ্বজিত। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।  শনিবার রাতে বিশ্বজিত্‍ রায়কে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বড়দিনে যেন বেশি পথ দুর্ঘটনা জেলায় জেলায়


শীতঘুম থেকে উঠে হঠাত্ কেন সক্রিয় পুলিস? জানা গেছে, শিক্ষামন্ত্রীর কড়া মনোভাবেই আর রেয়াত করা হল না বিশ্বজিতকে। পাঁচই ডিসেম্বর টিএমসিপির গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন খোদ শিক্ষামন্ত্রী। তারপরই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে টিএমসিপি থেকে বহিষ্কার করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু আঁচ লাগেনি মোয়াজ্জেমের অনুগামী বিশ্বজিত রায়ের গায়ে। পরে শিক্ষামন্ত্রী ফোনে মোয়াজ্জেমকে বলেন, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটা দেখুন। তৃণমূলের আর কেউ জড়িত থাকলে  বহিষ্কার করুন। মোয়াজ্জেমও বলে রেখেছিলেন, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার হলেন যুব তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্ মণ্ডল।


আরও পড়ুন  ক্রিকেট ম্যাচে আউট নিয়ে গণ্ডগোল, তা থেকে ধুন্ধুমার হাওড়ার শিবপুরে