এখন শুধু শব্দ বলব “ধর্ষণ”
তানিয়া চক্রবর্তী
১ নাড়ি
ঘন অরণ্যের মাটি মুচড়ে
মানুষখেকো মানুষ এসেছে
বিকৃতি তুমি শোনো
তুমি ঘরে ঘরে জন্মাচ্ছ আড়ালে
বিশ্বাস করো কোনো বাদী নই
তবু পর্দা ছিঁড়ে দিচ্ছ...
সত্যি কি মা আছে তোমাদের?
মা--- মা--- মা
নাড়ি--- যোনি --- জন্ম
ছ’মাস ---তিনবছর --- সত্তরবছর
ধর্ষণ --- ধর্ষণ --- ধর্ষণ
২ আহা! প্রতিবাদ
ও মেয়ে
এদেশে জন্মে শিখে নিও
বর্ণপরিচয় ও ধর্ষণ
ও মেয়ে, ও ছেলে, ও বন্ধু
জোর কমলে বাড়ি ফিরবে!
ঘুম পাড়াবে চাঁদকে ডেকে!
জ্বালিয়ে দাও যত শেকড়
নয়তো শান্ত থাকো, শান্ত থাকো
পাগল হোক মেয়েরা সব
কাপড় খুলে হাসতে থাক
গাছ আর ফল দেবে না
গাছ আর ফুল দেবে না
শান্ত থাকো, ধর্ষকামীর জীবন হোক
বনস্পতি হাসতে থাকো, শান্ত থাকো
ফুল হবে না গাছে--- ফল হবে না গাছে
৩ খা
অশ্বমেধ পূর্ণ হল
বৃত্তমাফিক বিন্দু
স্বল্পভাষীর গা জুড়ে আয়
এ ক্রন্দসীর লালায় লালায় খুনি বীজ
তুই লুটেপুটে খা
৪ গা
গায়ের মধ্যে ধূলিপটল
আমায় মারো রাত্রিরাগে
বাতাস দিয়ে শুষিয়ে দাও
ছোবড়া দিয়ে ঘষো
আমার ফল্গু --- তোমার ফল্গু
বীতরাগের শরীর এখন
আর এসো না ধেয়ে...
৫ মহামারী
মিছিল করবে, জ্বালাবে মোম!
রক্ত গরম করে
বিছানা চিবিয়ে থুতু সামলাবে!
মিছিল করবে, জ্বালাবে মোম!
ধর্ষণ হবে আবার মাঝরাতে
ধর্ষণ হবে আবার সকালে , দুপুরে, রাতে
মা মানে কি!
ধান আর পাটের ক্ষেতে
রক্তমাখা মাটি পুড়ছে
শুধুই একটা মেয়ে চাই!
শুধুই একটা ছিদ্র চাই!
শব্দ খুলে দিচ্ছি --- শব্দ মরে যাক
শুধু ধর্ষণ বন্ধ হোক
প্রতিদিন ভোর রাতে চামড়ায় চামড়ায়
কেঁপে উঠি --- কারা যেন আসছে
এবারের পালা কে --- এবারের পালা কার!
ওহো সন্ন্যাসিনী --- এখনো আমরা ঘুমোচ্ছি
কোন শেকল চুইয়ে নামছে এ বন্ধ্যা রক্ত
একটাও আগুন জ্বালাতে শিখলাম না
এবারের পালা কে --- এবারের পালা কার!
মহামারী--- মহামারী---মহামারী