যেমনটা হওয়ার ছিল, তেমনটাই হল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট জিততে পঞ্চম দিনে ভারতের দরকার ছিল মাত্র সাতটি উইকেট। তারজন্য অশ্বিন, জাদেজা এবং ইশান্তদের সারাদিন লাগার কথা ছিল না। লাগেওনি।
আজকের দিনে ক্রিকেট নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলার পরই অবধারিত চলে আসবে সেই প্রসঙ্গটা। সচিন তেন্ডুলকর এবং বিরাট কোহলির মধ্যে তুলনা টানার চেষ্টা। এই তুলনাতে অবশ্য আর এক কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার রিকি পন্টিং একেবারে সচিন তেন্ডুলকরের দিকেই। পন্টিং, বিরাটকে দুর্দান্ত শুধু নয়, এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরাও মানছেন। কিন্তু সচিনের সঙ্গে তুলনার প্রসঙ্গে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না বিরাটকে। অন্তত এখনই।
একমাত্র টেস্টের আগের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র হয়ে গেল। হায়দরাবাদ জিমখানা মাঠে দু'দিনের এই ম্যাচ ড্র হলেও, বাংলাদেশের থেকে Dvsk ভালো পারফরম্যান্সই করল ভারত এ দল। রবিবার ম্যাচের প্রথম দিনে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলে প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার দিয়ে দেয় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ৫৮ এবং সৌম্য সরকার ৫২ রান করেন। ভারত এ-র হয়ে চারটি উইকেট নেন অনিকেত চৌধুরি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত এ আট উইকেটে ৪৬১ রান তুলে ডিক্লেয়ার করে দেয়। ভারত এ-র হয়ে তিন-তিনজন ক্রিকেটার অপরাজিত সেঞ্চুরি করেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রথম দিনের শেষে ভালো জায়গায় ভারত এ। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৬৭ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৪ রান তুলে তারা ডিক্লেয়ার দেয়। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মুশিফিকুর রহিম। তিনি ৫৮ রান করেন। ৫২ রান করেন সৌম্য সরকারও। এছাড়া বাংলাদেশের হয়ে সাব্বির রহমান (৩৩), লিটন দাস (২৩), মাহমুদুল্লাহ (২৩) এবং তামিম ইকবাল ১৩ রান করেন।
বিরাট কোহলির মুকুটে উঠল আরও একটা পালক। আর এই পালকটার গর্বই আলাদা। যেকোনও ভারতীয় এতে গর্বিত হবেন। কারণ, ক্রিকেটের বাইবেল বলা হয় যাকে, সেই উইজডেনের কভারে মানে প্রচ্ছদে ছবি ছাপা হল বিরাট কোহলির। সচিন তেন্ডুলকরের পর দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই সম্মাণ অর্জন করলেন ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক। ২০১৬ সালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত উইজডেন কর্তৃপক্ষের। গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ধরনের ফর্ম্যাট মিলিয়ে মোট ২৫৯৫ রান করেছেন কোহলি। তারই স্বীকৃতি দিল উইজডেন।
নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে ৫ রানে জিতল ভারত। এদিন টস জিতে ভারতকেই আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু কানপুরের ব্যাটিং ব্যর্থতা বজায় থাকলো নাগপুরে এসেও। আগের দিন ভারত তবু তুলেছিল ১৪৭। আর আজ ২০ ওভারে ভারত তোলে ৮ উইকেটে ১৪৪। যার প্রায় অর্ধেক রানই করেন কেএল রাহুল। এই ওপেনারের অবদান ৭১ রান। এছাড়া দুই অঙ্কের সংখ্যার রান পেলেন মণীশ পাণ্ডে (৩০) এবং বিরাট কোহলি (২১)। রায়না করেন ৭ রান। যুবরাজ সিং করেন ৪ রান। মহেন্দ্র সিং ধোনি করেন ৫ রান। হার্দিক পাণ্ডিয়া করেন ২ রান। ইংরেজদের হয়ে জর্ডন নেন ৩ টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান মিলস, মইন আলি এবং আদিল রশিদ।
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনটা যেন স্ক্রিপ্টেড। একেবারে হাতে ধরে লেখা চিত্রনাট্য। মানুষ ঠিক যেমনটা চাইছিলেন, তেমনটাই ঘটল। ওদিকে মেয়েদের ফাইনালে ভেনাস বনাম সেরেনা মুখোমুখি। আর এদিকে পুরুষদের ফাইনালে রজার ফেডেরার বনাম রাফায়েল নাদাল মুখোমুখি। রানীতে রানীতে যুদ্ধে আগের দিন জিতে গিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। আর আজ রাজায় রাজায় যুদ্ধে জিতবেন কে? গোটা পৃথিবী হয়ে গিয়েছিল দু'ভাগ।
ইরানি ট্রফিতে ৬ উইকেটে গুজরাটের বিরুদ্ধে জিতল অবশিষ্ট ভারতীয় একাদশ। আরও ভাল করে বললে যেন বলতে হয়, জিতলেন ঋদ্ধিমান সাহা। কারণ, ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ারের সেরা রানটা করলেন এই ম্যাচেই। করলেন ২০৩ রান। এবং সেটাও অপরাজিত! এর আগে ঋদ্ধিমান সাহার ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ১৭৮। পার্থিব প্যাটেল ইদানিং খুবই ভালো খেলছিলেন। কিন্তু সামনা-সামনি লড়াইতে পার্থিবকে ডাবল সেঞ্চুরিতে হারিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান সাহা।
লড়েও শেষ পর্যন্ত হারতেই হল ভারতকে। সিরিজের ফল ৩-০ -এর বদলে হল ২-১। কোনওরকমে। ৩২১ রান তাড়া করে মাত্র ৫ রানে হেরে গেল ভারতীয় দল। তবে, কেদার যাদব আর হার্দিক পাণ্ডিয়ার দুর্দান্ত লড়াই অনেকদিন মনে থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। এদিন টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ইংল্যান্ড তোলে ৮ উইকেটে ৩২১ রান। ইংরেজদের হয়ে বড় রান করেন রয় (৬৫), স্টোকস (অপরাজিত ৫৭), বেয়ারস্টো (৫৬), মর্গান (৪৩), বিলিংস (৩৫) এবং ওকস (৩৪)। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে তিন উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুটি উইকেট পান জাদেজা।
By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by clicking this link