ধর্মঘটের প্রথম বেলাতেই খুন শ্রমিক নেতা

ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দুদিনের সাধারণ ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালবেলায় খুন হলেন শ্রমিক নেতা। আজ আম্বালা বাস স্ট্যান্ডে বনধের সমর্থনে জমায়েত হয় স্থানীয় এআইটিইউসির সমর্থকরা। অভিযোগ, মালিকপক্ষ জোর করে বাস বের করার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই এআইটিইউসির ট্রেজারার নরেন্দ্র সিং-এর উপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।

Updated By: Feb 20, 2013, 09:21 AM IST

ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা দুদিনের সাধারণ ধর্মঘটের প্রথম দিন সকালবেলায় খুন হলেন শ্রমিক নেতা। আজ আম্বালা বাস স্ট্যান্ডে বনধের সমর্থনে জমায়েত হয় স্থানীয় এআইটিইউসির সমর্থকরা। অভিযোগ, মালিকপক্ষ জোর করে বাস বের করার চেষ্টা করে। এর মধ্যেই এআইটিইউসির ট্রেজারার নরেন্দ্র সিং-এর উপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক গুরুদাস দাশগুপ্ত এই ঘটনার নিন্দা করে জানান, ঘৃণ্য এই ঘটনা সত্ত্বেও শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাবেন। তিনি আরও বলেন, "আমাদের ধর্মঘট ভাঙার জন্য সরকার পক্ষ এবং মালিক পক্ষ এক জোট হয়ে ধর্মঘট বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে। সারা দেশের শ্রমিকরা ধর্মঘটকে সফল করে শহীদ নরেন্দ্র সিং-এর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।"
মূল্যবৃদ্ধি, খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন আর্থিক এবং শ্রমনীতির প্রতিবাদে আজ ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দুদিনের সাধারণ ধর্মঘট শুরু হয়েছে। দেশজুড়ে মোট ১১টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এই ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে সিটু, এআইটিইউসি, ভারতীয় জনমজদুর সংঘ, হিন্দ মজদুর সভা, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। 
ব্যাঙ্ক, পরিবহণ, বিদ্যুত্, বন্দর এবং টেলিকমের মতো বিভিন্ন সেক্টরের কর্মীরা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করছেন। ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে ওড়িশা, বিহার এবং কর্নাটকের সরকার। তবে আলাদা ছবি পশ্চিমবঙ্গ এবং কেরলে। ধর্মঘট রুখতে কড়া ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছে এই দুই রাজ্যের সরকার।  সরকারি কর্মীদের বেতন কাটা ও কর্মজীবনে ছেদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, কেরলে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ সরকার ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না দিলে, সরকারি কর্মীদের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউইনিয়নগুলি নিজেদের অবস্থানে অনড়। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম, সব ধরনের কাজের জায়গায় শ্রমনীতি লাগু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা, এমনই দশ দফা দাবিকে সামনে রেখে ধর্মঘটে সামিল হয়েছে তারা।

.