রামলীলায় কংগ্রেসের সভা জুড়ে দুর্নীতি, এফডিআই আর শুধুই রাহুল

কোমায় চলে যাওয়া ইউপিএ সরকারকে অক্সিজেন জোগাতে এবং ২০১৪-র নির্বাচনের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলিকে মাথায় রেখেই রবিবার রাজধানীর রামলীলা ময়দানে বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের আর্থিক সংস্কারের সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিগত বছরগুলিতে কংগ্রেসের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Updated By: Nov 4, 2012, 05:17 PM IST

কোমায় চলে যাওয়া ইউপিএ সরকারকে অক্সিজেন জোগাতে এবং ২০১৪-র নির্বাচনের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলিকে মাথায় রেখেই রবিবার রাজধানীর রামলীলা ময়দানে বক্তব্য পেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের আর্থিক সংস্কারের সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিগত বছরগুলিতে কংগ্রেসের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
ভিড়ে ঠাসা সমাবেশে প্রথমেই বক্তব্য রাখতে উঠে রাহুল গান্ধী আগামী শীতকালীন অধিবেশনেই লোকপাল বিল পাশ করানোর আশ্বাস দেন। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারে অর্থনৈতিক সংস্কারের সমর্থনে আসা দিল্লি-এনসিআর এর বিশাল সংখ্যক সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আমরা খুব তাড়াতাড়ি সংসদে লোকপাল বিল পেশ করব ।"
সেইসঙ্গে, দুর্নীতি ইস্যুতে ক্রমাগত কংগ্রেসকে নিশানা করায় বিরোধীদের একহাত নিতেও ছাড়েননি তিনি। খুচরো ব্যবসায় বিদেশী বিনিয়োগ প্রসঙ্গে বিরোধীরা `মিথ্যা` রটনা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন রাহুল। এফডিআইয়ে মানুষ উপকৃত হবে বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায় সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে যুব সম্প্রদায় ও কৃষক। কিন্তু না বুঝেই বিরোধিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাহুল গান্ধীর দাবি এফডিআই ফলে হিমঘর ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে বিকাশ আসবে, যা থেকে উপকৃত হবেন কৃষিজীবীরা। ওদিকে নাম না করে আন্না হাজারে, কেজরিওয়াল, বাবা রামদেবের মতো দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করেন রাহুল। তিনি বলেন, "গত আট বছরের ইউপিএর জমানায়, ২০০৫ সালে আমরাই তথ্য জানার অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছি।"
একই সুর প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর গলায়। বক্তব্য রাখতে রাহুল অগ্রগণ্য হলেও তাঁর পরেই বলতে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের বিরুদ্ধে `ভিত্তিহীন গুজব` ছড়ানোর জন্য বিরোধীদের কটাক্ষ করেছেন তিনি। কংগ্রেস সরকার জনস্বার্থে ও দেশের উন্নতিতে কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। এফডিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "যুব সম্প্রদায়ের রোজগারের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অর্থনৈতিক সংস্কার খুব প্রয়োজনীয়।"
পাশাপাশি, ইউপিএ নেতৃত্বাধীন সরকার ৮ বছরে আর্থিক উন্নতির রেকর্ড গড়ছে বলেও মন্তব্য করেন মনমোহন। আজকের সভামঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্পও ঘোষণা করেন তিনি। রেল, সড়ক, বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী দু`বছরে ১৭ হাজার কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে সরকার, সেকথাও জানিয়েছেন তিনি।
এরপর বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। গোটা বক্তৃতায় কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতা প্রমাণেই নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সনিয়া। দুর্নীতির `ক্যান্সার` যে দেশকে কাবু করেছে তা এককথায় মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। বিরোধীদের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন সোনিয়া।

.