বিহারে গণধর্ষণের পর খুন করে দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হল

দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডের আঁচ এখনও মিলিয়ে যায়নি। দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হলেও লাগাম লাগেনি ধর্ষক মনোবৃত্তির। দিল্লি, ত্রিপুরা, বেঙ্গালুরুর পর আবার পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। এবার বিহারের ভাগলপুরে। এক মহিলাকে গনধর্ষণের পর খুন করে দেহ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।

Updated By: Jan 14, 2013, 10:27 AM IST

দিল্লি ধর্ষণ কাণ্ডের আঁচ এখনও মিলিয়ে যায়নি। দেশ প্রতিবাদে উত্তাল হলেও লাগাম লাগেনি ধর্ষক মনোবৃত্তির। দিল্লি, ত্রিপুরা, বেঙ্গালুরুর পর আবার পৈশাচিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। এবার বিহারের ভাগলপুরে। এক মহিলাকে গনধর্ষণের পর খুন করে দেহ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হল।
সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী নিউজলপাইগুড়ির বাসিন্দা বছর ৩২-এর ওই মহিলা ছেলেকে সঙ্গে করে গতকাল দিল্লি গামি ব্রহ্মপুত্র মেলে উঠেছিলেন। বিক্রমশীলা ও কাহালগাঁও স্টেশনের মাঝামাঝি ট্রেন থেকে নামেন তিনি। কিন্তু মাঝে ট্রেন ছেড়ে দেওয়ায় তিনি ট্রেনে উঠতে পারেননি। সেখান থেকে অজ্ঞাত পরিচয় মদ্যপ কিছু দুষ্কৃতী তাঁকে জোর করে পার্শ্ববর্তী আমবাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বার বার ধর্ষণ করার পর খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনের পর ওই মহিলার দেহ একটি আমের গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
আজ পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ভাগলপুরের জওহর নেহেরু হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিসের সন্দেহ সারারাত ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে মহিলাকে হত্যা করা হয়।
তবে ভাগলপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার মীনা কুমারি জানিয়েছেন ট্রেনে ভিড় থাকায় সাহেবগঞ্জে একবার তিনি ট্রেন থেকে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু সহযাত্রীরা সেই সময় তাঁকে আটকান। এরপর বিক্রমশীলা ও কাহালগাঁও স্টেশনের মাঝামাঝি ট্রেনের গতি কমে আসলে তিনি ট্রেন থেকে ঝাঁপ মারেন। কিন্তু তাঁর এরকম আচরণের এখনও কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মীনা কুমারি জানিয়েছেন ঘটনাস্থল থেকে পরিতক্ত্য মদের বোতল পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গেই সেখান থেকে ট্রেনের টিকিট ও একটি কাগজের টুকরো পাওয়া গিয়েছে যাতে ওই মহিলার গ্রামের প্রধানের মোবাইল নম্বর উদ্ধার হয়েছে।
রেল পুলিস ও উত্তর পূর্ব রেলের মুখ্য আধিকারিক প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পড়ে স্বীকার করে নেন। রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী ঘটনার যথাযথ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
কয়েকদিন আগেই এই ব্রহ্মপুত্র মেলেই এক সেনা জওয়ানের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন এক তরুণী। তারপর গতকালের এই ঘটনা। সারাদেশে আর একবার সামগ্রিক নারী নিরাপত্তার সঙ্গেই ট্রেনেও যাত্রী সুরক্ষা বড়সড় প্রশ্নের সম্মুখীন হল।

.