এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন জোসেফ

মঙ্গলবার চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ডাকা আইন অমান্য কর্মসূচীতে অংশ নেন এসএফআইয়ের খড়গ্রাম জোনাল সেক্রেটারি যোশেফ হোসেন। পুলিসের লাঠিতে বাসের কাচ ভেঙে হাতে ঢুকে যায় তাঁর। ছিঁড়ে যায় ডান হাতের শিরা, স্নায়ু, মাংসপেশী। এর পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কুড়ি জন চিকিত্সকের মেডিক্যাল বোর্ড বিকেল পাঁচটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাঁর অস্ত্রপচার চলে। চার বোতল রক্তও দেওয়া হয় তাঁকে।

Updated By: Apr 3, 2013, 11:02 AM IST

দীর্ঘ সাত ঘণ্টার অস্ত্রপচারের পর জ্ঞান ফিরল এসএফআই  নেতা জোশেফ হোসেনের।
মঙ্গলবার চারটি বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের ডাকা আইন অমান্য কর্মসূচীতে অংশ নেন এসএফআইয়ের খড়গ্রাম জোনাল সেক্রেটারি যোশেফ হোসেন। পুলিসের লাঠিতে বাসের কাচ ভেঙে  হাতে ঢুকে যায় তাঁর। ছিঁড়ে যায় ডান হাতের শিরা, স্নায়ু, মাংসপেশী। এর পরেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে নিয়ে আসা হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কুড়ি জন চিকিত্সকের মেডিক্যাল বোর্ড বিকেল পাঁচটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত তাঁর অস্ত্রপচার চলে। চার বোতল রক্তও দেওয়া হয় তাঁকে।
পরে গভীর রাতে জ্ঞান আসে যোশেফের। আপাতত তিনি মেডিক্যাল কলেজের চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে অস্ত্রপচার সফল হয়েছে কিনা তা বুঝতে আটচল্লিশ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।
চিকিত্সায় সাড়া না দিলে বাদ দেওয়া হতে পারে যোশেফ হোসেনের আক্রান্ত হাতটি। ঘরের ছেলের জন্য চরম উত্‍কণ্ঠায় মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ভালকুণ্ডি গ্রাম। এই গ্রামেরই ছেলে যোশেফ হোসেন এখন শুয়ে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেডে। পুলিসের মারে আহত হয়ে তাঁর ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালে।
গতকাল দিনভর টিভির পর্দায় চোখ রাখার পর কার্যত রাতভর দু-চোখের পাতা এক হয়নি ভালকুণ্ডির। এসএফআইয়ের আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে সোমবার বাড়ি থেকে কলকাতা রওনা হন বহরমপুর কলেজের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র যোশেফ। গ্রামের যে কোনও বিপদ-আপদে তিনি সবার আগে ছুটে যেতেন বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। সংগঠিত করতেন রক্তদান শিবির। রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অভ্যাসে ভালকুণ্ডি গ্রামের সব পরিবারেরই ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন এসএফআইয়ের খড়গ্রাম ব্লকের জোনাল সম্পাদক যোশেফ হোসেন।   

.