একবালপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

একবালপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার তদন্ত হবে একবালপুর থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্তের বিরুদ্ধে। হত্যার তদন্তে গড়িমসি ও মূল অভিযুক্ত সিকন্দরকে আড়াল করার অভিযোগে আজই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পুষ্পা সিংয়ের বাবা। একইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা বিশ্বজিত্ লালার বিরুদ্ধেও।

Updated By: Apr 15, 2014, 09:46 PM IST

একবালপুর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়। এবার তদন্ত হবে একবালপুর থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্তের বিরুদ্ধে। হত্যার তদন্তে গড়িমসি ও মূল অভিযুক্ত সিকন্দরকে আড়াল করার অভিযোগে আজই ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন পুষ্পা সিংয়ের বাবা। একইসঙ্গে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তৃণমূল যুব নেতা বিশ্বজিত্ লালার বিরুদ্ধেও।

পুষ্পা সিং ও তার দুই মেয়ের নৃশংস খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই একবালপুর থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। মঙ্গলবার তা অন্যমাত্রা পেল। একবালপুর থানার ওসি সিদ্ধার্থ দত্তের বিরুদ্ধে ডিসি বন্দরের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন পুষ্পা সিংয়ের বাবা পরেশনাথ সিং। তাঁর অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত সিকন্দরকে আড়াল করার চেষ্টা করছিলেন ওসি।

পরেশনাথ সিংয়ের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিসি বন্দর ভি সলোমন নিশাকুমার। অন্যদিকে, একবালপুর তদন্তে প্রতিদিনই নতুন তথ্য হাতে আসছে গোয়েন্দাদের। সিকন্দরকে জেরা করে পুলিস জেনেছে...

একবালপুরের নেপথ্যে

স্বামীর মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণ বাবদ পঁয়ষট্টি লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন পুষ্পা সিং
সেই টাকা হাতানোর ছক কষেছিল সিকন্দর
সেজন্য খুনের পরই আলামারি ভেঙে পাস বই ও এটিএম কার্ড, জীবন বিমা পলিসি হাতিয়ে নেয় সে
ঘটনা ধামাচাপা পড়ে গেলেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা হাতানোর পরিকল্পনা ছিল
পরেশনাথ সিং মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর ব্যাঙ্ককে লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন
ফলে শেষপর্যন্ত ভেস্তে যায় সিকন্দরের পরিকল্পনা
সিকন্দরের বাড়ি থেকে এটিএম কার্ড, পলিসি ও পাস বই উদ্ধার করেছে পুলিস

ভিও-সোমবার রাতে সিকান্দরকে সঙ্গে নিয়ে একবালপুরে তল্লাসি চালায় কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ। সিকান্দরের বাড়িতে তালা বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেননি তাঁরা।সিকান্দরকে নিয়ে অপর দুই নাবালক অভিযুক্তের বাড়িতে যান তাঁরা।বাজেয়াপ্ত হয় দুটি মোবাইল ও দুটি প্রি-অ্যাকটিভেটেড সিম কার্ড। জেরায় সিকন্দর জানিয়েছে, ২৫ সে মার্চ থেকে দোকানে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু করেছিল সে। মঙ্গলবার দুপুরে অপর অভিযুক্ত মহঃ আমিনকে নিয়ে খিদিরপুরে বাজারে তল্লাসি চালান গোয়েন্দারা। যে দোকান থেকে মৃতদেহ মোড়ানোর জন্য প্লাস্টিক কেনা হয়েছিল সেই দোকানে আমিনকে নিয়ে যাওয়া হয়। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পরে নিয়ে আসা হয় একবালপুর এলাকাতেও।

.