পুলিসের আশ্বাসেও আতঙ্ক কাটেনি নবদম্পতির

মেয়ে ভালবেসে বিয়ে করেছে, তা কোনও ভাবে মানতে নারাজ তাঁর পরিবারের লোকজন। স্বামীকে ছেড়ে চলে না এলে দুজনকেই প্রাণে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ, এমন হুমকিও আসছে মেয়ের বাড়ি থেকে। প্রাণের আশঙ্কায় পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন পানাগড়ের এক দম্পতি। পুলিসের তরফে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Updated By: May 9, 2012, 03:22 PM IST

মেয়ে ভালবেসে বিয়ে করেছে, তা কোনও ভাবে মানতে নারাজ তাঁর পরিবারের লোকজন। স্বামীকে ছেড়ে চলে না এলে দুজনকেই প্রাণে মেরে ফেলা হবে। অভিযোগ, এমন হুমকিও আসছে মেয়ের বাড়ি থেকে। প্রাণের আশঙ্কায় পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন পানাগড়ের এক দম্পতি। পুলিসের তরফে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
পানাগড়ের গুরদুয়ারা এলাকার বাসিন্দা মেঘা আগরওয়াল। বাবা বিজয় আগরওয়াল বস্ত্র ব্যবসায়ী। পরিবারের আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভাল। সুভাষ সাহা নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মেঘার। গত দোসরা ডিসেম্বর পানাগড়ের বামুনডিহির বাসিন্দা পেশায় ঠিকাদার সুভাষের সঙ্গে দুজনে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ে মেনে নেবে না বুঝে মেঘা প্রথমে বিয়ের কথা বাড়িতে চেপে যান। কিন্তু পরে ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয় গণ্ডগোল। বিয়ে ভাঙতে শুরু হয় শাসানি। ভয়ে বাপের বাড়ি ছাড়েন মেঘা। তাঁর অভিযোগ, এর পর তাঁকে ও সুভাষকে প্রাণে মারতে ধানবাদ থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করেছেন বিজয় আগরওয়াল।
 
সুভাষ এবং মেঘা বর্তমানে পানাগড়ের কাঁকসার বাসিন্দা। কিন্তু হুমকির ভয়ে তাঁরা বীরভূমে গিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানে জেলা পুলিস সুপারের সঙ্গে দেখা করে সমস্যার কথা জানান তাঁরা। বীরভূমের পুলিস সুপার তাঁদের বর্ধমানের পুলিস সুপারের কাছে পাঠান। বর্ধমানের পুলিস সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, "দুজনের অভিযোগ শুনেছি। দুজনেই প্রাপ্তবয়ষ্ক। তাই তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।" 
 
তা সত্ত্বেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মেঘা ও সুভাষ। কাঁকসা থানা দম্পতির নিরাপত্তার বিষয়টি দেখছে। পুলিস জানিয়েছে, মেঘা এবং সুভাষের বাড়ির লোকেদের থানায় ডেকে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।
 

.