আদালতে ফের হোঁচট খেল রাজ্য

ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। চারুচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল রেখেই, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নিয়োগ করেছিল তারা। একই ব্যক্তি একই সঙ্গে কী করে দুটি সরকারি পদে বহাল থাকেন, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। আজ আদালত মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অধ্যক্ষ পদে থাকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।  

Updated By: Dec 17, 2012, 08:21 PM IST

ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। চারুচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল রেখেই, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নিয়োগ করেছিল তারা। একই ব্যক্তি একই সঙ্গে কী করে দুটি সরকারি পদে বহাল থাকেন, সেই প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। আজ আদালত মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অধ্যক্ষ পদে থাকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে।  
প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়োগ নিয়ে আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। শিক্ষা সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় আদালতে ফের হোঁচট খেল তারা। দুহাজার এগারো সালের জুলাই মাসে চারুচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তিনাথ চ্যাটার্জিকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নিয়োগ করেছিল রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে কলেজের অধ্যক্ষ পদে রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। চারুচন্দ্র কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দেন। তারপর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এবং চারুচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ, এই দুটি পদেই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন মুক্তিনাথ চ্যাটার্জি। অভিষেক বসু নামের এক ছাত্র রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল মূলত দুটি।
 
প্রথমত, একজন ব্যক্তি একই সঙ্গে দুটি সরকারি পদে বহাল থাকেন কী করে? দ্বিতীয়ত, অধ্যক্ষ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কাজে ব্যস্ত থাকায় কলেজের পঠনপাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে। সোমবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। একই ব্যক্তিকে দুটি সরকারি পদে রাখার  সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। পঠনপাঠন এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের জন্য আলাদা ভাবে টিচার ইন চার্জ নিয়োগ করতে হবে চারুচন্দ্র কলেজকে। এমনটাই জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে মুক্তিনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অধ্যক্ষ পদে থাকার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ ডিসেম্বর।

.