মানবাধিকার সংগঠনের বিরুদ্ধে থ্যাচারের সেনা

ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানবাধিকার এবং বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার।

Updated By: Jan 8, 2012, 06:36 PM IST

ক্ষমতায় আসার পরেই দেশের মানবাধিকার এবং বিক্ষোভকারী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধে সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করতে শুরু করেছিলেন ব্রিটেনের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। ফাঁস হওয়া একটি মেমো উদ্ধৃত করে ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, ১৯৭৯-তে টোরি ক্ষমতায় আসার পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, শান্তিস্থাপনে সক্রিয় গোষ্ঠী-সহ ব্রিটেনের বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে গোপনে কাজ চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ সেনার এক বিশেষ প্রশিক্ষিত শাখাকে।
২০ সিকিউরিটি কোম্পানি (ভি)-র প্রাক্তন জওয়ানরা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, খোদ ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ কর্তা চর হিসাবে কাজ করার জন্য তাঁদের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
উত্তর আয়ারল্যান্ড, পশ্চিম এশিয়া এবং রাইনের ব্রিটিশ সেনায় তখন ২০ কয় নামে ব্রিটিশ সেনার যে শাখাটি কাজ করছিল, তাদের পাঠানো জনৈক জেনারেলের নির্দেশিকায় বলা হয়, "সরকার পরিবর্তনের ফলে মানবাধিকার সংগঠন ও সেনা-স্বার্থবিরোধী সংগঠনগুলির উপর আরও ভালো ভাবে
নজরদারি চালানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ওই ধরনের সংগঠনগুলি সম্পর্কে আরও সক্রিয় ভাবে তথ্য যোগাড় করতে পারবে গোয়েন্দা শাখাটি। কারণ, সাধারণ মানুষই এই শাখার সদস্য।" চর হিসাবে কাজ করার সময় গোয়েন্দা শাখার এক সদস্য এতটাই সাফল্য অর্জন করেছিলেন যে, একটি সংগঠনের সদস্য-সম্পাদক পদেও তাঁর নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেই সময়। তবে এই ভাবে নজরদারি চালানোর বিষয়টিকে যে তাঁরা খুব একটা ভাল ভাবে নেননি, প্রাক্তন এক জওয়ানের বিবৃতিতেই তা স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, "স্রেফ সরকার পছন্দ করছে না বলেই সাধারণ মানুষের উপরে গোয়েন্দাগিরি করাটা আমাদের কাজ নয়।"

.