বলিউড, হলিউড, টলিউড, এমন কাণ্ড বিশ্বের কোনও ফিল্মে আর হয়নি!
স্বরূপ দত্ত
গতকালই জন্মদিন ছিল বলিউড নায়ক সঞ্জয় দত্তের। সঞ্জয় দত্তের বাবা সুনীল দত্ত এ দেশের অন্যতম সেরা অভিনেতা। সঞ্জয় দত্তের অভিনয় জীবন বদলে গেল যে মুন্নাভাই এমবিবিএসের হাত ধরে, সেই ফিল্মেও সঞ্জয় দত্তের বাবার চরিত্রে দারুণ অভিনয় করেছিলেন দেশের প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ সুনীল দত্ত। নিজের কেরিয়ারে অনেক মজাদার জিনিস আছে সুনীল দত্তের। যেগুলো জানতে বেশ মজাই লাগে আজ এত বছর পরে এসে বা মানুষটা পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও। জীবনের শুরু দিকটায় ডাকাতের চরিত্রে অভিনয় করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর সেই রত্নাকর দস্যুর মতোই যেন। একেবারে ডাকাত থেকে হয়ে গেলেন ফিল্মের হিরো! অবশ্য দুটোই পর্দায়।
আরও পড়ুন পুলিস না হয়েও শুধু পুলিস সেজে নাম উঠেছে গিনেস বুকে!
যদিও সুনীল দত্তের অন্য একটা জিনিস নিয়ে আজ ছোট্ট একটা আলোচনা করতে বসা। সুনীল দত্তের এমন একটা রেকর্ড আছে, যা আর কারও নেই। শুধু বলিউডে নয়, এমন কাণ্ড গোটা বিশ্বের সিনেমার ইতিহাসে আর একটা নেই! তাই তো তাঁর নাম রয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডেও! ভাবছেন কী করেছেন সুনীল দত্ত? দারুণ কিছু। - ১৯৬৪ সালে ইয়াদে বলে একটি ছবি করেছিলেন সুনীল দত্ত। ওই ছবির পরিচালকও ছিলেন তিনি। এই সিনেমাটির জন্যই তাঁর নাম ওঠে গিনেস বুকে। কারণ, এই ছবিটা ছিল ১১৩ মিনিটের। আর এই ১১৩ মিনিটই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সুনীল দত্ত একা! হ্যাঁ, গোটা ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন সুনীল দত্ত একা। একেবারে শেষ দৃশ্যে একবারের জন্য মুখ দেখানো হয়েছিল নার্গিসের!না, ভারতে তো বটেই, গোটা পৃথিবীতে এমন ফিল্মের আরেকটা নজির নেই। যেখানে ১১৩ মিনিট মানে, প্রায় দুঘণ্টা ধরে অভিনয় করেছিলেন একা একজন অভিনেতা! ১৯৬৬ সালে সুনীল দত্তের এই ইয়াদে ফিল্মের জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান এস রামচন্দ্র এবং সুরাটওয়ালা। বেস্ট সিনামাটোগ্রাফার হিসেবে পুরস্কার পেয়েছিলেন এস রামচন্দ্র এবং বেস্ট সাউন্ডের জন্য পুরস্কার পেয়েছিলেন সুরাটওয়ালা। আর সুনীল দত্তের নাম তো গিনেস বুকেই!