'সোশ্যাল'এ বন্ধুদের পোস্ট দেখে অচেনা লাগে: Ankush

রাজনীতি থেকে সিনেমা, নানান বিষয় নিয়ে অঙ্কুশ কথা বললেন Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে।

Updated By: Mar 17, 2021, 07:40 PM IST
'সোশ্যাল'এ বন্ধুদের পোস্ট দেখে অচেনা লাগে: Ankush

অনসূয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: টলিপাড়ায় তারকাদের রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার হিড়িক। তবে এসব থেকে নিজেকে দূরেই সরিয়ে রেখেছেন অঙ্কুশ। তারকাদের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া নিয়ে কী মত অঙ্কুশের। রাজনীতি থেকে সিনেমা, নানান বিষয় নিয়ে অঙ্কুশ কথা বললেন Zee ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে।

বন্ধুবান্ধব সবাই তো রাজনীতিতে নেমে পড়েছেন, তুমি কী ভাবছ?    

অঙ্কুশ : আমার কাছেও প্রস্তাব এসেছিল, কিন্তু আমি মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। আমি সবসময় প্রকাশ্যে নিজের মতামত জানিয়েছি। আর, কাদা ছোড়াছুড়িতে আমি যেতেও চাই না। সবাই মানুষের পাশে থাকার জন্য, কাজ করার জন্য রাজনীতিতে আসছেন, আমরা চাইলে তা এমনিই করতে পারি। তার জন্য রাজনীতিতে যোগ দিতে হয় না। তবে হ্যাঁ, এটাও ঠিক নিজে কাজ করতে গেলে একটা পর্যায় অবধি করা যায়, আরও বেশি করে সাহায্য করার জন্য একটা সংগঠনকে পাশে প্রয়োজন, তবে চাইলে নিজে থেকেও তা করা যায়, রাজনীতির আশ্রয় লাগে না।

কাদা ছোড়াছুড়ি হিসেবে দেখছ কেন? 

অঙ্কুশ: কারণ রাজনীতিতে যোগ দিলেই বাক স্বাধীনতা হারিয়ে যায়, নিজস্বতা থাকে না। মত প্রকাশ করার ক্ষমতাও শেষ হয়ে যায়। আমার বন্ধুবান্ধবের সোশ্যাল মিডিয়া এখন কেমন যেন অচেনা লাগে। বোঝা যায়, এই কথা তাঁরা লিখতেই পারেন না। তাঁরা আসলে এমন মানুষই নন, কিন্তু একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে তাঁদের সোশ্যাল হ্য়ান্ডেল থেকে এই পোস্টগুলো করতে হয়, আমি সেটাই করতে চাই নি।             

রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছেই তাহলে তোমার নেই বলছ? তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমার মন্তব্য থাকছে, পরোক্ষভাবে হলেও রাজনৈতিকই মতই প্রকাশ পাচ্ছে?                     

অঙ্কুশ: না, আমি কোনও দলের হয়ে কিছু করি না, আর রাজনীতিতে এই জন্যই যাই নি। আমি যেটা বুঝিনা, সেটাতে আমি ঢুকতে চাই না। আমি চাই যাঁরা যুক্ত হয়েছেন তাঁরা যেন তাঁদের কাজের প্রতি সৎ থাকেন এবং কাজ করেন। আমি সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, তাঁরা ভালো কাজ করলে আমারও ভাল লাগবে। খুব বড় দায়িত্ব তাঁরা নিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালন করতেই হবে।       

দুই শিবিরে যোগ দেওয়া ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে বন্ধুত্বে প্রভাব পড়বে বলে মনে হয়?       

অঙ্কুশ: সেটা ম্যাচিওরিটির ওপর নির্ভর করবে। আশাকরি এমন হবে না। আর তাছাড়া আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো।

সম্প্রতি একটি কথা উঠেছে,  রাজনীতি অভিনেতাদের বিকল্প পেশা, ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খারাপ, চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এই কথা বলেন...

অঙ্কুশ: চিরঞ্জিতদার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কথাটা বলছি, আমার মনে হয় এটা কোথাও গিয়ে বনি-কৌশানিকে ছোট করা। তিনিও তো তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। তিনিও সৎ উদ্দ্যেশ্য নিয়েই রাজনীতিতে এসেছেন, তাই তাঁর জুনিয়ররা তো তাঁকেই অনুসরণ করবেন, তাই এটা হয়ত একটু অপমানজনক।   

ম্যাজিকে তো জুটি সুপারহিট, আবার কবে জুটি বাঁধছ তুমি আর ঐন্দ্রিলা?                                                  

অঙ্কুশ: এই তো সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে কথা হয়েছে, প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর ছবি। আবারও বাণিজ্যিক ছবিতে আমরা, একটু আলাদা চিত্রনাট্য। জি বাংলার ‘ডান্স বাংলা ডান্সে’ আমি বিচারক এবার। ওটার শ্যুটিং শেষ হলেই এই ছবির শুটিং শুরু করব। এছাড়াও পাভেল ও পথিকৃতের সঙ্গে ছবির পরিকল্পনা চলছে। 'বিবাহ অভিযান-এর সিক্যুয়েলও হওয়ার কথা। সেটাও এর পরপরই হবে। বাবা যাদবের হরর থ্রিলারটা শুটিং হয়ে রয়েছে, নাম এখনও ঠিক হয় নি। ওটাই আমার পরের রিলিজ।

.